লোকসভা ভোটপর্ব মিটে গেলেই পরিবহণ দফতর শুরু করবে গাড়িগণনার কাজ। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটপর্ব মিটে গেলেই পরিবহণ দফতর শুরু করবে গাড়িগণনার কাজ। রাজ্যে প্রথম বার এই ধরনের গাড়িগণনার কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র। সম্প্রতি এই গাড়িগণনার কাজ শুরু করতে সম্মতি দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কিন্তু আচমকা পরিবহণ দফতর কেন এই গণনার কাজ শুরু করেছে? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবহণ দফতর সূত্র জানা যাচ্ছে, এ বছরের শুরুতে গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে ‘ওয়েভার স্কিম’ শুরু করা হয়। দফতরের শীর্ষকর্তাদের আশা ছিল, এই পন্থায় ৫০০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হবে। কিন্তু জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাস মিলিয়ে এই ওয়েভার স্কিমে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ১৬৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। প্রত্যাশার চেয়ে এত কম রাজস্ব আদায় নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে পরিবহণ দফতর। বেশ কিছু কারণ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, যে পরিমাণ গাড়ির উল্লেখ পরিবহণ দফতরের কাছে রয়েছে, তার চেয়ে রাস্তায় চলছে অনেক কম সংখ্যায় গাড়ি। তার পরেই গাড়িগণনা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর।
গাড়িগণনার কাজে একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করার কথাও ভাবা হয়েছে। সেই সংস্থাকে বাছাই করার পর সেই দায়িত্ব তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গণনার কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হবে ওই সংস্থাকে। পাশাপাশি পরিবহণ দফতর নিজের পরিকাঠামোতেও যাতে গাড়ির প্রকৃত সংখ্যা জানা যায় সেই কাজ চালাবে। পরিবহন দফতরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে না অথচ বাহন পোর্টালে সেই সব গাড়ির উল্লেখ রয়েছে। তাই রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনের সংখ্যা জানা সরকারের পক্ষে জরুরি হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই এই গাড়িগণনা হবে।” প্রসঙ্গত, পরিবহণ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য জুড়ে প্রায় দেড় কোটি গাড়ি রাস্তায় রয়েছে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে ২০-২৫ শতাংশ গাড়ির বর্তমানে আর কোনও অস্তিত্ব নেই বলেই ধরা পড়েছে। এ প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের একাংশের মত, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় লকডাউন পরিস্থিতিতে ব্যাপক ভাবে মার খেয়েছে বেসরকারি পরিবহণ। সেই পরিস্থিতিতে অনেক বেসরকারি গাড়ি বসে গিয়েছিল, যা লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে আর রাস্তায় নামেনি।
গাড়িগণনা শুরু করার পাশাপাশি, সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পরিবহণ দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন। সেই নির্দেশিকায় সব জেলার আরটিওদের বাহন পোর্টালে থাকা তথ্য সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোট আট দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দফতর যে আর ভুল তথ্য নিয়ে চলতে রাজি নয় তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা স্তরের আধিকারিকদের। এ ক্ষেত্রে কোনও গাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ভুল ত্রুটি রয়েছে কি না সেই বিষয়েও বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে জেলা স্তরের পরিবহণ আধিকারিকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy