ছবি: সংগৃহীত।
ক্রমাগত পলি পড়ে নাব্যতা হারাচ্ছে বিভিন্ন নদী। আবার ইট তৈরির জন্য অনেক ক্ষেত্রে কেটে নেওয়া হচ্ছে চাষের জমির মাটি। তার ফলে বাড়ছে ভূমিক্ষয়। পরিবেশের এই জোড়া বিপদ রুখতে নদীর পলি তুলে ইটভাটায় ব্যবহার করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্যের ভূমিরাজস্ব দফতরকে চিঠিও দিয়েছে ইটভাটা মালিক সংগঠন। তবে ভূমিরাজস্ব দফতর এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ইটভাটা মালিক সংগঠনের সভাপতি যোগেশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘মজে যাওয়া নদীর পলিমাটি তুলে ইট তৈরি করলে ইটভাটা তো উপকৃত হবেই। সেই সঙ্গে উপকৃত হবে মজে যাওয়া নদীর আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও। কারণ, পলি মাটি কাটলে সেই মজা নদীর নাব্যতা বাড়বে। ফলে বর্ষার সময় জল বাড়বে নদীতে।’’
নদীর পলি তোলার সঙ্গে পরিবেশের বিষয়টি জুড়ে আছে। তাই এই বিষয়ে চটজলদি সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে মনে করছেন পরিবেশ দফতরের অনেকে। তাঁদের মতে, পলি তোলার ছাড়পত্র দিলে যেখানে-সেখানে সেই কাজ হবে। তাতে নদীর গতিপথ বদলে যেতে পারে, ক্ষতি হতে পারে জীববৈচিত্রের। পরিবেশ দফতরের একটি সূত্রের ব্যাখ্যা, নদীতে অবৈধ বালি খাদান বন্ধে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। তবু সব জায়গায় খাদান বন্ধ করা যায়নি। পলি তোলার কথা বললে আবার সেই সমস্যা হবে।
পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের মতে, নদীর পলি ইট তৈরির উত্তম উপাদান। পলি তুলে ইট তৈরি হলে পরিবেশও বাঁচতে পারে। কিন্তু সেই পলি তোলার দায়িত্ব থাকা উচিত শুধু সরকারেরই হাতে। ‘‘এই বিষয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে আর্জি জানানো যেতে পারে। আদালতের নজরদারি ও নির্দেশে কাজ হলে বেআইনি কিছু হবে না,’’ বলছেন সুভাষবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy