কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিল কলকাতা হাই কোর্ট। অসঙ্গতি নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ পেয়ে, গত ২ জুলাই আদালত জানিয়েছিল, ৭ দিনের মধ্যে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন-কে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। আদালতে সেই তালিকা জমাও করা হয়। তাতেই শুক্রবার নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হল।
শুক্রবারও মার্কশিট নিয়ে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা পড়েছিল আদালতে। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেটি গ্রহণ করেননি। বরং এসএসসি-র তরফে বিষয় ভিত্তিক যে নম্বর দেখানো হয়েছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট বলেও জানিয়েছেন। ইন্টারভিউয়ের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তার ভিত্তিতে দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘৫ বছর ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। আমি চাই না নিয়োগে আরও দেরি হোক।’’
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘২০১৬ সালে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের অনেকেরই বয়সসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। আমি রাজ্য সরকার ও কমিশনকে অনুরোধ করব, তাঁদের ৫ বছর ছাড় দেওয়া হোক।’’ তিনি জানান, তালিকায় ভুল থাকলে দু’সপ্তাহের মধ্যে কমিশনকে জানাতে পারবেন চাকরিপ্রার্থী। আট সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে কমিশনকে। তার পর চিঠি বা ইমেল মারফত জবাব পাঠাতে হবে প্রার্থীকে। সব মিলিয়ে ১২ সপ্তাহের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া মিটিয়ে ফেলতে হবে। তার জন্য, কমিশন চাইলে বিশেষ আধিকারিক নিয়োগ করতে পারে, যাঁরা প্রার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন।
অন্য দিকে, কোনও অযোগ্য প্রার্থী যদি তালিকা নিয়ে অভিযোগ করেন, সে ক্ষেত্রে কমিশন চাইলে তাঁকে জরিমানা করতে পারে বলেও জানিয়েছে আদালত।
তবে আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নিলেও, ইন্টারভিউয়ের তালিকা নিয়ে শুক্রবারও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সকাল থেকে সল্টলেকে এসএসসি ভবনের সামনে জমা হন শত শত চাকরিপ্রার্থী। নতুন প্রকাশিত তালিকাতেও অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। সমস্ত নথি আপলোড করা সত্ত্বেও ওয়েবসাইটে তা দেখানো হচ্ছে না বলেও জানান। এফলাইনে সমস্ত নথি যাচাই করে দেখা হোক বলেও দাবি তোলেন তাঁরা।
তৃতীয় বার সরকার গঠনের পর জুন মাসের মাঝামাঝি প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকেই সাড়ে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি। পুজোর আগেই গোটা প্রক্রিয়া সেরে ফেলার নির্দেশ দেন। সেই মতো কমিশনের তরফেও উদ্যোগ শুরু হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশে মাঝপথে তা থমকে যায়। সেই সময় ইচ্ছাকৃত ভাবে মামলা দায়ের করে নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy