গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের ওয়েটিং লিস্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। প্রতীকী ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এ বার চাকরিপ্রার্থীদের ‘ওয়েটিং লিস্ট’ বা অপেক্ষমান চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর মন্তব্য, ওয়েটিং লিস্ট গঙ্গাজলের মতো শুদ্ধ নয়। তাতেও কারচুপি থাকতে পারে। তাই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি) নতুন গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে সতর্ক হতে বলেছেন বিচারপতি।
মঙ্গলবার এসএসসির উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘গ্ৰুপ ডি বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের যে ওয়েটিং লিস্ট রয়েছে, তা কিন্তু গঙ্গাজলের মতো স্বচ্ছ নয়। এটা মনে রাখতে হবে। নিয়োগের সময় এসএসসি-কে এ বিষয়ে সতর্কও থাকতে হবে।’’
গ্রুপ ডি-তে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই কর্মীদের বেতনও ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই শূন্যপদগুলিতে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নতুন এবং যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করবে কমিশন। সেই অপেক্ষমান প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে কমিশনকে সতর্ক হতে বললেন বিচারপতি বসু।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন চাকরিচ্যুত গ্রুপ ডি কর্মীরা। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে। চাকরি হারানো কর্মীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশে কেবল স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। চাকরি বাতিল কিংবা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে তারা কোনও নির্দেশ এখনও দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা। তার মাঝে ওয়েটিং লিস্টের মাধ্যমে নতুন গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগে তালিকার বিশুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বসু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy