ফাইল চিত্র।
মাঝেমধ্যেই তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অনেক ক্ষেত্রে আদালতে তিরস্কৃতও হতে হয় পুলিশকে। এমনকি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগও আসে আসে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। এই সমস্যার সুরাহায় পুলিশের তদন্তকারী শাখা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী শাখা এবং ট্র্যাফিক শাখাকে পুরোপুরি পৃথক করা উচিত বলে মনে করে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন জানান, শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, এই সমস্যা প্রায় সব রাজ্যেই রয়েছে।
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তদন্তকারী অফিসারেরা শুধু মামলার তদন্তই করবেন। আইনশৃঙ্খলার ডিউটি বা যান সামলানোর কাজ তাঁদের দেওয়া উচিত হবে না। এ রাজ্যের পুলিশ অ্যাকাডেমিতে কী ধরনের প্রশিক্ষণ হয়, সরকারি কৌঁসুলির কাছ থেকে সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। তবে এই আলোচনা কোনও মামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল না। তাই কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট।
এজলাসে এই আলোচনা চলাকালীন পুলিশের কাজ সংক্রান্ত একটি ঘটনারও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, সম্প্রতি তদন্তে বিলম্বের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এক পুলিশ অফিসারের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। সেই অফিসার আদালতে হাজির হয়ে আদালতকে জানান, তাঁর হাতে ৩২টি মামলার তদন্তভার রয়েছে। কিন্তু পুলিশের অন্যান্য কাজের চাপে তিনি তা শেষ করতে পারছেন না। বস্তুত, মামলার হাজিরার দিনেও এক জন ভিআইপির কনভয়ে ডিউটি ছিল তাঁর। হাইকোর্টে হাজিরার কারণে তাঁকে উপরওয়ালার কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আসতে হয়েছে।
পুলিশেরও অনেকে বলছেন, এমনিতেই রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন থানায় লোকবল কম। তার উপরে নানা ঝামেলা এবং যানবাহন সামলানোর ডিউটি রয়েছে। তার ফলে বহু মামলার তদন্ত শেষ করার সময় মেলে না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কম সময়ে তদন্ত শেষ করতে গিয়ে ভুলত্রুটি হয়। সেই গাফিলতির জেরে অনেক সময় সইতে হয় আদালতের তিরস্কার। অথচ পুলিশের তদন্তকারী অফিসারকে একসঙ্গে নানা ধরনের দায়িত্ব সামলাতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy