—প্রতীকী ছবি।
পশুপাখিদের ছবি তোলাই নেশা। তাই মাঝেমধ্যেই ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। ছবি তুলবেন বলে ভোরবেলা ঘন জঙ্গলের ভিতর ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ শুনতে পান, কে যেন জঙ্গলের ভিতরে শিস দিয়ে গান করছে। সুর চেনা নয়, তবে শিসের শব্দ ভারী মিষ্টি। তা হলে এই জঙ্গলে আরও কেউ রয়েছেন? চারদিকে তাকাতে শুরু করলেন তিনি। কিন্তু কোথাও কাউকে দেখতে পেলেন না তরুণ। ভয়ে যখন তিনি শিউরে উঠছেন, ঠিক তখনই তাঁর চোখ পড়ল একটি উঁচু গাছের ডালে। ডালে বসে একটি কুচকুচে কালো রঙের পাখি গলা ফুলিয়ে, ঠোঁট ফাঁক করে ডেকে চলেছে। সেই ডাক এতই মধুর যে, শুনলে মনে হবে কোনও ব্যক্তি মিষ্টি সুরে শিস দিয়ে চলেছেন। ক্যামেরায় ভিডিয়ো করে তা সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করতে ভোলেননি তরুণ।
বন্যপ্রাণীদের ছবি তুলতে ভালবাসেন ধ্রুব পাটিল। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে অধিকাংশ সময় তাঁর তোলা বন্য জন্তুদের ছবি বা ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় ২১ হাজারের বেশি অনুগামী জোগাড় করে ফেলেছেন ধ্রুব। সম্প্রতি ছবি তুলতে কর্নাটকে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়েই একটি পাখির সুমধুর শিস ভিডিয়ো ক্যামেরায় বন্দি করেন ধ্রুব। ভিডিয়োটি পোস্ট করে ধ্রুব জানান, এই ‘গায়ক’ পাখিটি মালাবার হুইসলিং থ্রাশ প্রজাতির। শিস দিয়ে ডাকতে পারে বলে ‘সিঙ্গিং বার্ড’ অথবা ‘হুইসলিং স্কুলবয়’ নামেও পাখিটি অধিক পরিচিত। সাধারণত পশ্চিমঘাট পর্বতমালা, সাতপুরা পর্বত এবং পূর্বঘাট পর্বতমালার কিছু কিছু জায়গায় এই পাখির দেখা মেলে। সাধারণত ভোরের দিকে এই পাখির শিস শোনা যায়। কুচকুচে কালো রঙের হলেও ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যায়, পাখিটির শরীরে নীল রংও খেলা করছে। কর্নাটকে ছবি তুলতে গিয়ে এই পাখিটির দেখা পেয়েছেন ধ্রুব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy