গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
বেলঘরিয়া থানার সাসপেন্ড (নিলম্বিত) হওয়া হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডার মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই হোমগার্ড আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচার চেয়ে গান গেয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই কারণে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ, কেন এই ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে হল কাশীনাথকে, রাজ্যকে তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। পুলিশকে জানাতে হবে, ওই হোমগার্ডের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত পাঁচ বছর ধরে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনস্থ বেলঘরিয়া থানায় অস্থায়ী হোমগার্ডের চাকরি করছেন কাশীনাথ। তিনি হাওড়ার ডোমজুর এলাকার বাসিন্দা। গত ২১ অগস্ট আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। কাশীনাথের দাবি, ভিডিয়োটি পোস্ট করার পর থেকেই তাঁকে নানা রকম ভাবে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা, মানসিক নির্যাতনও করেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। পোস্টটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। কাশীনাথ আরও দাবি করেছেন, পোস্টটি তিনি সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে না মোছায় অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে কোনও অভিযোগ ছাড়াই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এর পর গত ১০ অক্টোবর কোনও কারণ না দেখিয়ে তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তার পর গত ১৪ অক্টোবর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কাশীনাথ।
কাশীনাথ জানিয়েছেন, চাকরির পাশাপাশি তিনি নিয়মিত সমাজমাধ্যমে নিজের নাচ-গানের ভিডিয়ো করে পোস্ট করতেন। আরজি করের ঘটনায় বিচলিত হয়ে তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন। তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দিয়ে তাঁর মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন কাশীনাথ। যদিও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy