Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sujay Krishna Bhadra

এসএসকেএমের থেকে ‘কাকু’র মেডিক্যাল রিপোর্ট চাইল আদালত, ইডি বলল, কারচুপি করছেন সুপার

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছে হাই কোর্ট। জানিয়েছে, ওই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও ইডি জানিয়েছে, এসএসকেএমের রিপোর্টে তাদের ভরসা নেই।

image of sujay krishna Bhadra

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৬
Share: Save:

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘কাকু’র রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। রিপোর্ট দিতে হবে এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারকে। যদিও ইডি জানিয়েছে, ওই রিপোর্টে তাদের ভরসা নেই। হাই কোর্ট জানাল, আগে রিপোর্ট পেয়ে তার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। ওই হাসপাতালে ‘কাকু’র চিকিৎসা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ইডি। আদালতে ইডি মঙ্গলবার জানিয়েছে, ওই হাসপাতালের উপর কোনও বিশ্বাস নেই। এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার তথা চিকিৎসক পীযূষকুমার রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে অভিযোগও তুলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির সওয়াল, পীযূষকুমার মেডিক্যাল রিপোর্টে কারচুপি করছেন। এ বিষয়ে এসএসকেএমের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তবে তিনি ফোন ধরেননি।

মঙ্গলবার ইডির তরফে আরও বলা হয়, ‘‘আমরা ভিডিয়ো দেখাব, কী ভাবে এসএসকেএম হাসপাতালে স্বচ্ছন্দে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি আরামে করছেন। সামান্য মানসিক চাপ ছাড়া কোনও সমস্যা নেই।’’ ইডি এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কথাও তুলে ধরেছে। জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বাইপাস অস্ত্রোপচার বড় ধরনের কোনও অস্ত্রোপচার নয়। শীর্ষ আদালতের মতে অ্যাপেনডিক্সের মতোই অস্ত্রোপচার।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩১ মে সুজয় গ্রেফতার হন। ২৭ জুন থেকে ১৬ জুলাই প্যারোলে মুক্ত ছিলেন তিনি। ১৭ জুলাই আবার এসএসকেএমে ভর্তি হন। সেই থেকে তিনি ওই হাসপাতালে। অন্তর্বর্তী জামিনের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ইডি সেই জামিনের বিরোধিতা করে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন জামিনের বিরোধিতা করছে, রিপোর্ট চায় হাই কোর্ট। ইডি সেই রিপোর্ট জমা দেয় মঙ্গলবার। কী কী বিষয়ে তাদের আপত্তি, তা জানায়। ইডির অভিযোগ, এসএসকেএমের সুপার কারচুপি করছেন। তারা এও বলে, তদন্তের খাতিরে কণ্ঠস্বরের নমুনা প্রয়োজন। কিন্তু নিতে পারেনি। আদালত প্রশ্ন তোলে, চার মাসে সেই নমুনা কেন নেওয়া যায়নি। এর পরেই হাসপাতালের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় হাই কোর্ট। ইডি জানায়, এসএসকেএমের রিপোর্টকে তারা বিশ্বাস করে না। ইএসআই হাসপাতালে তারা পাল্টা পরীক্ষা করাতে চায়। হাই কোর্ট বলে, ‘‘আগে এসএসকেএমের রিপোর্ট পাই। কী বলে দেখি। তার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব।’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ জানুয়ারি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy