আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর বিতর্কের আবহেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিয়েছে রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ। তবে ওই মামলায় এখনই হস্তক্ষেপ করল না হাই কোর্ট। রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিরোধিতায় তাঁর আবেদনটি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন সন্দীপ। হাই কোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি সেনের একক বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি ফিরিয়ে দিয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, মামলাটি এখনই জরুরি ভিত্তিতে শুনতে হবে— এমন কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
প্রথমে আরজি করের আর্থিক অনিয়মের মামলায় গ্রেফতার হন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ। পরে আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। যদিও সিবিআই জানিয়েছে, ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রত্যক্ষ যোগের অভিযোগ নেই সন্দীপের বিরুদ্ধে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে ওই মামলায়। সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার দাবি উঠছিল চিকিৎসক মহলের অন্দরেই। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনও এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি পদে রয়েছেন তৃণমূলের অপর চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়।
আইএমএ-র রাজ্য শাখার তরফে সুদীপ্তকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। অনুরোধ জানানো হয়েছিল, যাতে ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’ না দেখে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়। চিঠিতে সই ছিল শান্তনুরও। এই আবহেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর জেলবন্দি চিকিৎসক সন্দীপের ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছিল, গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিসের উপযুক্ত জবাব দেননি সন্দীপ। সে কারণে নথিভুক্ত চিকিৎসকদের তালিকা থেকে তাঁর নাম অপসারণ করা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy