Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Calcutta High Court

সন্দেশখালি থেকে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, কলকাতা হাই কোর্টের সেরা রায়ের তালিকায় আর কী কী

হাই কোর্টের প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বিচারপতিরা নিজেদের এজলাসে যে সব মামলার বিচার করেছেন, তার মধ্যে থেকে একটি রায়কে বাছাই করা হয়েছে। অর্থাৎ, সব বিচারপতিরই বছরের সেরা রায় প্রকাশিত হয়েছে।

—প্রতীকী ছবি

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ২০:১৫
Share: Save:

গত এক বছরে কলকাতা হাই কোর্টের সেরা রায়গুলির তালিকায় জায়গা পেল সন্দেশখালি এবং এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায়। সন্দেশখালির মামলায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। আর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক ধাক্কায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চ। এ ছাড়া সেরা রায়ের তালিকায় রয়েছে সরকারি চাকরিতে রূপান্তরকামীদের এক শতাংশ বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ। ওই রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের বার্ষিক রিপোর্ট। সেখানে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিষয়ের মতো বিচারপতিদের ‘বছরের বেস্ট’ রায়ের উল্লেখ রয়েছে। জানানো হয়েছে, সারা বছর ধরে বিচার করে হাই কোর্টের কোন বিচারপতির কোন রায়টি সেরা। গত বছর থেকে এই ধরনের বই প্রকাশ শুরু করেছেন হাই কোর্ট কর্তৃপক্ষ। মূলত প্রতি বছর ১৫ অগস্ট এই বই প্রকাশ হয়। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ রায় সন্দেশখালি মামলা। ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল হাই কোর্ট। আদালতের চাপে পড়ে তদন্তকারীদের জালে ধরা দেন সন্দেশখালির মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর নির্যাতন ও চাষের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আবার সন্দেশখালিতে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা খারিজ করে সেরা রায় দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলাও সেরা রায়ে জায়গা পেয়েছে। ওই মামলায় বিচারপতি বসাকের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক গাফিলতি রয়েছে। আদালত গ্ৰুপ-ডি, গ্ৰুপ-সি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। হাই কোর্টের ওই রায়ে রাতারাতি চাকরি চলে যায় হাজার হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের ওই রায় স্থগিত করে দেয়। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের সেরা রায় পঞ্চায়েত মামলায়। মনোনয়নপত্র কারচুপির অভিযোগে ওই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই ভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায় না। নির্বাচন সংক্রান্ত এই বিষয়ে ইলেকশন পিটিশনে আদালত ওই নির্দেশ দিতে পারে।

অ্যাসিড আক্রান্ত এক পুরুষ মহিলাদের মতো ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায়, আক্রান্তের লিঙ্গ বিচার করা উচিত নয়। মহিলাদের মতো তিনিও একই ক্ষতিপূরণ পাবেন। গত এক বছরে এটিই ওই বিচারপতির সব চেয়ে ভাল রায় বলে উল্লিখিত হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের অবসরপ্রাপ্ত এগজিকিউটিভ অ্যাসিট্যান্ট। বিচারপতি অমৃতা সিংহের রায়, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করার কোনও আইনি প্রক্রিয়া নেই। এটিই তাঁর সেরা রায়। প্রসঙ্গত, হাই কোর্টের প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বিচারপতিরা নিজেদের এজলাসে যে সব মামলার বিচার করেছেন, তার মধ্যে থেকে একটি রায়কে বাছাই করা হয়েছে। অর্থাৎ, সব বিচারপতিরই বছরের সেরা রায় প্রকাশিত হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy