আরামবাগের বিজেপি প্রার্থীর করা মামলায় নোটিস জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছিলেন আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর। আরামবাগের ভোট বাতিলের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় এ বার নোটিস জারি করল উচ্চ আদালত। সব পক্ষকে নোটিস দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আরামবাগের মামলাটি সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে’র বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। আইনজীবীদের সওয়াল শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নোটিস দেবেন হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। নোটিস দেওয়া হবে নির্বাচনের কমিশনকে। পাশাপাশি আদালতের নোটিস যাবে ওই কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তথা সাংসদ মিতালি বাগের কাছেও।
এই মামলায় নির্বাচন কমিশনকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আরামবাগের নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এবং নথি সংরক্ষণ করতে হবে। সংরক্ষণ করে রাখতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার যাবতীয় ভিডিয়ো ফুটেজও।
আরামবাগে মাত্র ছ’হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ জিতে গিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী জানান, যে ভাবে ভোট হয়েছে, তা তিনি মানছেন না। একই অভিযোগ তোলা হয় ঘাটাল, বসিরহাট, কোচবিহার এবং ডায়মন্ড হারবারেও। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র, ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস এবং কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক কলকাতা হাই কোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন। নির্দিষ্ট বেঞ্চে সে সব মামলা বিচারাধীন।
ঘাটাল, কোচবিহার এবং ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থীরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন। তবে বসিরহাটের প্রার্থীর অভিযোগ অন্য। তাঁর অভিযোগ, ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের হলফনামায় ত্রুটি ছিল। হলফনামায় ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ ছিল না। তাই তাঁর নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলেছেন রেখা। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুও বলেছিলেন, ‘‘যে আইনে দেবাশিস ধরের (বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রাক্তন পুলিশকর্তা) মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, সেই একই আইনে হাজি নুরুলের মনোনয়নও বাতিল হওয়ার কথা।’’
উল্লেখ্য, নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে হয়। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। এর পর আর কোনও প্রার্থী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করতে পারবেন না আদালতে। ইতিমধ্যে যে ইলেকশন পিটিশন দায়ের হয়েছে, তার বিচার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy