Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Calcutta High Court

হিরণ, রেখা, নিশীথের পথেই বিজেপির আরও এক পরাজিত প্রার্থী, ভোট বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে

নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দায়ের করেছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রেখা পাত্র এবং নিশীথ প্রামাণিক। প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

(বাঁ দিক থেকে) হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রেখা পাত্র এবং নিশীথ প্রামাণিক।

(বাঁ দিক থেকে) হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রেখা পাত্র এবং নিশীথ প্রামাণিক। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ২০:০৭
Share: Save:

নির্বাচন বাতিল চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর। আদালতে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দায়ের করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, আরামবাগ কেন্দ্রে যে ভাবে ভোট হয়েছে, তা তিনি মানছেন না। ভোটে কারচুপির অভিযোগও তুলেছেন। ওই কেন্দ্রে এ বার মাত্র ছ’হাজার ভোটে হেরেছেন অরূপ। জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ।

নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দায়ের এই প্রথম নয়। মঙ্গলবারই কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা গত বারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ‘ইলেকশন পিটিশন’ দায়ের করেছেন। নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনিও। এ ছাড়া, এর আগে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র একই দাবি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, ঘাটাল-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। ভোটপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, এই চার লোকসভা আসনের প্রার্থী কলকাতা হাই কোর্টে ইলেকশন পিটিশন করতে চলেছেন।

বসিরহাটের প্রার্থীর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুলের হলফনামায় ত্রুটি ছিল। হলফনামায় ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ ছিল না। তাই তাঁর নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুও বলেছিলেন, ‘‘যে আইনে দেবাশিস ধরের (বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রাক্তন পুলিশকর্তা) মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, সেই একই আইনে হাজি নুরুলের মনোনয়নও বাতিল হওয়ার কথা।’’

মঙ্গলবার আদালতে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দায়ের করে নিশীথ জানান, কোচবিহারের ভোটে কারচুপি হয়েছে। নির্বাচনের পরই তিনি এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, কোচবিহারের গণনাকেন্দ্রে শতাধিক ইভিএম বদল করা হয়েছে। এমনকি, কোচবিহারের ৮ শতাংশ বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন নিশীথ। তিনি আরও বলেছিলেন, সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে এক এক জন ভোটার একাধিক বার ভোট দিয়েছেন। ভোটের ‘সঠিক’ ফল জানতে যত দূর যাওয়া দরকার, তত দূর যাবেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy