Advertisement
০৩ জুলাই ২০২৪
Calcutta Port Trust

পোর্ট ট্রাস্টের জমি দখল করে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়! ভেঙে ফেলার নির্দেশ বিচারপতি সিংহের

হাই কোর্ট যে রাজনৈতিক দলের অফিস ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে সেটির ঠিকানা তারাতলা থানার হেলেন কেলার সরণি। ঘটনাচক্রে ওই এলাকায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলেরই একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে।

গ্রাফিক— সনৎ সিংহ

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৪ ২০:৪১
Share: Save:

কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠেছিল এক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। সেই কার্যালয় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, ওই পার্টি অফিস ভাঙতে যদি অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন হয় তবে তারও ব্যবস্থা করতে হবে স্থানীয় থানার ওসিকে। ছ’দিনের মধ্যে পার্টি অফিসটি ভাঙা হল কি না সে ব্যাপারে রিপোর্ট দিয়ে আদালতকে জানাবে রাজ্য।

হাই কোর্ট যে রাজনৈতিক দলের অফিস ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে সেটির ঠিকানা তারাতলা থানার হেলেন কেলার সরণি। ঘটনাচক্রে ওই এলাকায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলেরই একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। যদিও হাই কোর্ট তার নির্দেশে কোথাও তৃণমূলের নাম বলেনি।

হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা করেছিলেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ বা পোর্ট ট্রাস্ট। আদালতকে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ওই এলাকায় পোর্ট ট্রাস্টের একটি হাসপাতাল রয়েছে। তা ছাড়া হাসপাতাল সংলগ্ন বিস্তৃত জমিও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টেরই। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল সেই জমির একাংশ বেআইনি ভাবে দখল করে নিজেদের দলীয় কার্যালয় তৈরি করেছে। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট আদালতকে জানায়, এর ফলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে হাসপাতালে যাওয়া আসার রাস্তায়, যা কখনওই কাম্য নয়।

বৃহস্পতিবার এই মামলা শুনানির জন্য ওঠে বিচারপতি সিংহের বেঞ্চে। পোর্ট ট্রাস্টের বক্তব্য শোনামাত্রই বিচারপতি বলেন, ‘‘কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ওই জমি বেআইনি দখল মুক্ত করতে হবে। হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা খুলে দিতে হবে। ভাঙতে হবে ওই রাজনৈতিক দলের কার্যালয়।’’ এ ব্যাপারে তারাতলা থানার ওসিকে বিচারপতি নির্দেশ, ‘‘ওই কার্যালয় ভাঙার ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে পুলিশ। ওই নির্মাণ ভাঙতে অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন হলে থানাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।’’

এই কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য ২৬ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ কার্যকর হয়েছে এই মর্মে আগামী ২৬ জুন রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে।’’ ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE