কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। —ফাইল চিত্র।
কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের সিট গঠনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ জুলাই।
গত এপ্রিল মাসে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ছাত্রী মৃত্যুর এই ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য। সেই মামলায় বুধবার অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, অত্যন্ত বিরল মামলা ছাড়া এই ভাবে ‘প্রাইভেট’ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায় না। সিটের সদস্যেরা টিভিতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, অভিযোগ জানাচ্ছেন রাজ্যের বিরুদ্ধে। দু’জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসারকে এই তদন্তের কাজে লাগানো হয়েছে যা করা যায় না। আদালতে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য।
আদালতে প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, সমস্যা কোথায়? এজি তখন বলেন, “ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। এফএসএল রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।” প্রধান বিচারপতি তখন বলেন, “যাঁদের সিটের সদস্য করা হয়েছে তাঁরা কারা? তাঁরা টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচ্ছেন? তাঁদের পেনশনগুলো ফেরত দিয়ে দিতে নির্দেশ দেব?”
এই প্রশ্নোত্তর পর্বের পরেই প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, শুধুমাত্র বিরল মামলার ক্ষেত্রেই সিট গঠন করা যায়। শুধুমাত্র সন্দেহের জন্য কোনও বিচারপতি প্রাক্তন অফিসারদের দিয়ে সিট গঠন করতে পারেন না। এর পরেই বিচারপতির মান্থার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় যে সিট গঠন করা হয়েছিল সেই দলে ছিলেন, বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy