Advertisement
E-Paper

ক্যানসারে আক্রান্ত, শিক্ষিকার প্রাপ্য দিতে নির্দেশ

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছেন, ৯০ দিনের মধ্যে আরতিরাণীকে বকেয়া প্রাপ্য দিয়ে দিতে হবে।

Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৩
Share
Save

আড়াই দশকের চাকরির সময়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেনি সরকার। গত নভেম্বরে অবসর গ্রহণের পরে পেনশন দিতে গিয়ে নথিপত্র যাচাইয়ে প্রশ্ন তুলেছিল প্রশাসন। ক্যানসার আক্রান্ত আরতিরাণী বিশ্বাসকে বলা হয়েছিল, ওই নথিপত্রের সমস্যার জন্যই তিনি পেনশন এবং অবসরকালীন প্রাপ্য পাবেন না। প্রাপ্য আদায়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছেন, ৯০ দিনের মধ্যে আরতিরাণীকে বকেয়া প্রাপ্য দিয়ে দিতে হবে। ক্যানসারে আক্রান্ত ওই প্রাক্তন শিক্ষিকা যাতে চিকিৎসার খরচ চালাতে পারেন, তার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক)-কে প্রভিশনাল পেনশন চালু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং শিঞ্জিনী চক্রবর্তী জানান, আরতিরাণী বাংলাদেশে স্কুল এবং কলেজের লেখাপড়া শেষ করে এ দেশে আসেন। ১৯৮৪ সালে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পান। ১৯৯৮ সালে তিনি রাজারহাটের একটি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষিকা হিসেবে কাজ যোগ দেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে অবসর নেন। এত বছর চাকরির পরে কী ভাবে এক জন ক্যানসার আক্রান্ত প্রাক্তন শিক্ষিকার প্রাপ্য আটকানো যায়, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বৈশ্যের দাবি ছিল, মামলাকারী বাংলাদেশি নাগরিক। শিক্ষাগত নথি যাচাই না করে প্রাপ্য দেওয়া যাবে না।

বিচারপতি সিংহের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী এত বছর ধরে চাকরি করার সময়ে কর্তৃপক্ষ কী করছিলেন? নথি যাচাই না করেই চাকরি দেওয়া হয়েছে, তা মেনে নেওয়া কার্যত অসম্ভব। চাকরি শেষ হওয়ার পরে নথি যাচাইয়ের কোনও অর্থ নেই। তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, আরতিরাণীর ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আচরণ বেআইনি এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

Calcutta High Court Pension

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}