কল্যাণ চৌবে। ফাইল চিত্র।
মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের ‘ইলেকশন পিটিশন’ প্রত্যাহার করার আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, মামলাকারীর আর্জি মেনে মামলা প্রত্যাহার করার অনুমতি দেওয়া হল। অন্য দিকে, ইলেকশন পিটিশন প্রত্যাহার করে নিলেও সময়ের অভাবে চলতি নির্বাচনের সঙ্গে মানিকতলার উপনির্বাচন না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কল্যাণের অনীহার কারণে হাই কোর্টে ওই মামলার শুনানি বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে— এই অভিযোগ তুলে গত মাসে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শীর্ষ আদালত কল্যাণকে তীব্র ভর্ৎসনা করে। মামলায় মনোযোগ দেওয়ার কারণে তাঁকে কেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। শোকজ় নোটিস দেওয়া হয় মানিকতলার বিজেপি প্রার্থীকে।
শীর্ষ আদালতের ওই ভর্ৎসনার পরে গত ২৯ এপ্রিল হাই কোর্টে মামলা প্রত্যাহার করার কথা জানান কল্যাণ। আবেদন বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার পিটিশন প্রত্যাহারের অনুমতি দেন তিনি।
২০২১ সালে নীলবাড়ির লড়াইয়ে গোটা রাজ্যে ২১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। মানিকতলার বিধানসভা কেন্দ্রেও জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে (বর্তমানে প্রয়াত)। পরাজিত হন কল্যাণ। ওই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ করেছিলেন কল্যাণ। প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
হাই কোর্টে কল্যাণ অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূল প্রার্থী তৎকালীন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে বিধানসভার ভোটারদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে ভোট কিনেছিলেন। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার সুবাদে জল এবং বিদ্যুতের লাইন কাটার ভয় দেখানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছিলেন তিনি। তার পর থেকে প্রায় দু’বছর ধরে হাই কোর্টে ওই মামলাটি চলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy