গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার আদালতের নির্দেশ শুভেন্দুকে গ্রেফতরা বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। নতুন এফআইআর হলে শুভেন্দুকে জানাতে হবে।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কলকাতা-সহ রাজ্যের পাঁচটি থানায় দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলা প্রসঙ্গে সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। শুভেন্দু আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, হয় মামলাগুলি খারিজ করা হয় অথবা সিবিআই তদন্ত হোক। যুক্তি ছিল, প্রতিটি মামলাই রাজ্যনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত এবং তাঁর রাজ্য পুলিশের উপর কোনও ভরসা নেই।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দুকে কোনও মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই তাঁর মর্যাদার কথা বিবেচনা করেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত করতে হবে। সিআইডি বা পুলিশ হঠাৎ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেই তাঁর পক্ষ হাজির হওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তৎকালীন তৃণমূলের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার ভবানীভবনে শুভেন্দুকে তলব করেছিল সিআইডি। কিন্তু তিনি হাজির হননি।
ভবিষ্যতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হলেও তাঁকে আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। ছ’সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।
কাঁথি, নন্দীগ্রাম এবং পাঁশকুড়া থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলির শুনানির উপর স্থগিতাদেশও জারি করেছে হাই কোর্ট। কাঁথি থানায় দায়ের হওয়া দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যুর মামলা এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে তমলুকে দায়ের হওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এবং কলকাতার মানিকতলা থানায় দায়ের হওয়া চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগের মামলা দু’টির শুনানি চলতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক রাজনৈতিক মারধর, তমলুকে এবং পাঁশকুড়ায় একটি ছিনতাইয়ের অভিযোগের মামলাও দায়ের হয়েছিল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy