Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
taliban

Afghanistan: তালিবানের সঙ্গে ‘সীমিত সম্পর্ক’ বজায় রাখবে ভারত, ঘোষণা বিদেশ সচিবের

কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবান নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল।

জয়শঙ্কর এবং বরাদর।

জয়শঙ্কর এবং বরাদর। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:০৯
Share: Save:

আলোচনার দরজা খুললেও তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেবে নয়াদিল্লি। শনিবার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে ভারতের কোনও সুদৃঢ় আলোচনা হয়নি।’’

ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের নয়া শাসকদের সঙ্গে ‘সীমিত সম্পর্ক’ বজায় রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন শুক্রবার বলেছিলেন, ‘‘মুসলিম হিসেবে আমাদের কাশ্মীরের মুসলিমদের পক্ষে আওয়াজ তোলার অধিকার রয়েছে।’’ পাশাপাশি, চিনকে পাকিস্তানের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী’ বলেও বর্ণনা করেন তিনি। এর পরেই শ্রিংলার এমন মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতীয় দূতাবাসে মঙ্গলবার তালিবান নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের পাশাপাশি ভারতে আসতে ইচ্ছুক সে দেশের নাগরিক, বিশেষত সংখ্যালঘুদের নয়াদিল্লিতে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের আবেদন বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে তালিবান।

দোহার ওই বৈঠক ভারতের এত দিনের কাবুল-নীতির থেকে অনেকটাই আলাদা বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। পূর্বতন মনমোহন সিংহ বা অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার কখনওই তালিবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার দরজা খোলেনি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কার্যত বাধ্য হয়েই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তালিবানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে হয়েছে বলে ওই অংশের মত। কারণ, আফগানিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীরের সমস্যা এবং ভারতের নিরাপত্তা সরাসরি যুক্ত। কাবুলে তালিবানি রাজ ফেরার পরে চিনের মদতে পাকিস্তান তার প্রধান কান্ডারি হলে, নয়াদিল্লির কাছে তা অস্বস্তির কারণ হবে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রথম সারির তালিবান নেতা আব্দুল গনি বরাবর দোহার বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে অবহিত বলে সরকারি সূত্রের খবর।

যদিও মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘরোয়া রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা দাবি তুলেছেন, ‘‘কেন্দ্র আগে স্পষ্ট করুক, এখনও তারা তালিবানকে জঙ্গিগোষ্ঠী মনে করে কি না।’’ এই পরিস্থিতিতে বিদেশ সচিবের মন্তব্য ভারতের সাবধানী পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE