—ফাইল চিত্র।
তাঁর কাজ সন্তোষজনক নয় এবং তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বজায় রাখার পক্ষে উপযুক্ত নন, এই কথা জানিয়ে সিন্ডিকেট গত ৬ মার্চ চিঠি দিয়েছিল পরীক্ষা নিয়ামক জয়ন্ত সিংহকে। তার জেরে পরের দিন পদ ছাড়েন তিনি। সেই চিঠিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন জয়ন্তবাবু। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন পরীক্ষা নিয়ামক নিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করেছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি অমৃতা সিংহ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, জয়ন্তবাবুর বদলে অন্য কাউকে ওই পদে নিয়োগ করলে কর্তৃপক্ষকে সেই নিয়োগপত্রে লিখে দিতে হবে যে, এই মামলার ফলাফলের উপরে নতুন পরীক্ষা নিয়ামকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।
জয়ন্তবাবুর আইনজীবী শুভঙ্কর দাস জানান, তাঁর মক্কেল বিবেকানন্দ কলেজের শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক হিসেবে নিযুক্ত হন। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়ে হাইকোর্ট মামলা করেন জয়ন্তবাবু। হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষের অভিযোগ খারিজ করে জানিয়ে দেয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে নিয়মমাফিক আনতে হবে। কর্তৃপক্ষ তার পরে জয়ন্তবাবুর ‘প্রবেশন’-এর মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়িয়ে দেন।
শুভঙ্করবাবু জানান, তার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গত ১০ অক্টোবর এবং চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি জয়ন্তবাবুকে দু’টি কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। জয়ন্তবাবুর কাজ সন্তোষজনক নয় বলে তাঁকে জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। ওই আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল এই মামলায় উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যুক্ত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌঁসুলি জিষ্ণু চৌধুরী আদালতে জানান, জয়ন্তবাবু সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মেনে নিজেই পদ ছেড়েছেন।
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি সিংহ নির্দেশ দেন, মামলার সঙ্গে যুক্ত সকলকেই হলফনামা পেশ করে তাঁদের বক্তব্য জানাতে হবে। পরবর্তী শুনানি হবে জুনের শেষ সপ্তাহে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy