—প্রতীকী চিত্র।
নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে নিখোঁজ তিন জনের ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ বা মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার রাজ্য প্রশাসনকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ১০ নভেম্বর সিপিএম নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ওই সময় নিখোঁজ হন আদিত্য বেরা, সত্যেন গোলে এবং বলরাম সিংহ। তিন জনেই ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ছিলেন। সেই সময় নিখোঁজদের পরিবারের তরফে দাবি করা হয় যে, তাঁদের খুন করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের তরফে প্রকাশিত মৃতদের তালিকায় তিন জনের নাম ছিল। ওই নিখোঁজ তিন জনের পরিবার রাজ্য প্রশাসনের কাছে মৃত্যু শংসাপত্র চেয়েও পায়নি বলে অভিযোগ। তার পর তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট তিন জনের পরিবারের হাতেই মৃত্যু শংসাপত্র তুলে দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস থেকে তিন জনের পরিবার ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবে।
হাই কোর্টের নির্দেশের পরেই নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনের শীর্ষ সারিতে ছিলেন তিনিও। তখন অবশ্য শুভেন্দু তৃণমূলে ছিলেন। এক্সে শুভেন্দু এই নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাই কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্য ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিলেন। কিন্তু যাঁরা ওই আন্দোলনে প্রকৃত অর্থে লড়াই করেন, তিনি তাঁদের সর্বদা অবহেলা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন তাঁদের মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়ার আর্জিকে নাকচ করে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy