ফাইল ছবি।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে তা জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সিবিআইকে ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী মঙ্গলবার সিবিআইকে এই মামলার তদন্তে অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। বিচারপতিরা সিবিআইয়ের আইনজীবীকে জানান, এই মামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের কী অগ্রগতি, সে সম্পর্কে আদালত অবগত হতে চায়। তখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী জানান, আদালতের নজরদারিতে সিবিআইয়ের ছয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। সেই দল তদন্ত করছে। পুরনো অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কিছু তথ্যও জোগাড় করা হয়েছে ইতিমধ্যে।
এর পর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে অদ্যবধি কী কী পদক্ষেপ বা তদন্তের ক্ষেত্রে কী কী অগ্রগতি হয়েছে তা তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট আকারে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে জানাতে হবে। আদালত আরও জানিয়েছে, শুধু কিছু বয়ান বা কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে— তা লিখে দিলেই হবে না, সঙ্গে দিতে হবে প্রয়োজনীয় নথিও।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মূলত দু’টি বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথমত, উপেন বিশ্বাস বর্ণিত চরিত্র রঞ্জনকে খুঁজে বার করা এবং দ্বিতীয়ত, সার্বিক ভাবে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত। হাই কোর্টই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়ে দিয়েছিল। সেই সিটের তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী উঠে এসেছে, তা রিপোর্ট আকারে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআইকে।
এই প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২৭৩ জন চাকরিপ্রার্থীকে যে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়েই মূল বিতর্ক। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়টি অনেকটা নিউটনের আপেলের মতো। তাঁদের কথায়, ‘‘নিউটন একটি আপেল গাছের নীচে বসেছিলেন। তখন গাছ থেকে হঠাৎ একটি আপেল এসে মাটিতে পড়ে। ঠিক যেমন ২৭৩ জনের ১ নম্বর বেশি পাওয়ার বিষয়টি। কোথা থেকে এল এই বাড়তি ১ নম্বর!’’
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, পর্ষদ সভাপতি-সহ আরও কয়েক জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy