জখম আনিসুর রহমান।
বাংলাদেশি গরু পাচারকারীদের ছোড়া বোমায় গুরুতর জখম হলেন এক বিএসএফ জওয়ান। বুধবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার আংরাইল সীমান্তে। বিএসএফ জানিয়েছেন, জওয়ানের নাম আনিসুর রহমান। তিনি ৬৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অসমের বাসিন্দা বছরের আঠাশের আনিসুরের ডান হাত কব্জি থেকে উড়ে গিয়েছে। সারা শরীর বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত।
বিএসএফ এর ডিআইজি (পিআরও) এসএস গুড়িয়া জানান, বিএসএফ এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিজিবি-র (বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ) কাছে প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হচ্ছে। সীমান্তের ওপার থেকে এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে বিজিবি-কে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হচ্ছে।
বিএসএফ ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে আংরাইল সীমান্তে পাহারায় ছিলেন আনিসুর। ওই সময় বাংলাদেশ থেকে জনা পঁচিশের একটি গরু পাচারকারী দল এ দেশের ২০০ মিটারের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে ছিল দেশি বোমা, দা, লাঠি, হাঁসুয়া। বাংলাদেশি পাচারকারীরা এ দেশের পাচারকারীদের সাহায্যে গোটা ১৫ গরু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আনিসুর তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় পাচারকারীরা জওয়ানের মুখে টর্চের আলো ফেলে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। আত্মরক্ষার জন্য আনিসুরও এক রাউন্ড গুলি চালান। পাচারকারীরা পাল্টা বোমা ছুড়তে থাকে। তাতেই জখম হন আনিসুর। গাঢ় অন্ধকার ও বন-জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়। অন্য জওয়ানেরা এসে আনিসুরকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বহুদিন ধরেই আংরাইল সীমান্ত গরু পাচারের জন্য কুখ্যাত। পাচারকারীরা ‘সেফ করিডর’ বলে। বেশ কিছু দিন ধরে এখানে গরু পাচার অনেকটাই কমে এসেছিল। নতুন করে পাচারের ঘটনায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy