মেখলিগঞ্জে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝোলানো একের পর এক কাচের বোতল। —নিজস্ব চিত্র।
দু’পাশে চাষের ক্ষেত। মাঝখান দিয়ে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। সেই বেড়াতে নানা রঙের খালি বোতল ঝোলাল বিএসএফ। উদ্দেশ্য, রাতের অন্ধকারে পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ম্য যাতে রোখা যায়। গবাদি পশু কিংবা ফসল নিয়ে কেউ পালাতে গেলেই ধাক্কা লেগে কেঁপে উঠবে কাঁটাতারে ঝোলানো কাচের বোতল। আর সেই শব্দে সতর্ক হয়ে যাবেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের উত্তর অন্দরান খরখরিয়ায় কাঁটাতারের বেড়ায় বেশ কিছু দিন ধরে মদের খালি বোতল ঝোলানোর কাজ শুরু হয়েছে। সীমান্তের জ়িরো পয়েন্টের কাছে দেড় কিলোমিটার জুড়ে এই ব্যবস্থা। জানা যাচ্ছে, গ্রামবাসীরা নিজেরা হাত লাগিয়ে প্রায় চার ফুট উঁচু ফেন্সিংয়ে কাচের খালি বোতল ঝুলিয়েছেন। কারণ, পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে তাঁরা অতিষ্ঠ।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমধ্যেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া কেটে পাচারের চেষ্টা করছে দুষ্কৃতীরা। ওই বেড়া কাটা রুখতে জওয়ানেরা সদা সতর্ক। কিন্তু মেখলিগঞ্জে এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে স্থায়ী ভাবে এখনও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেই সমস্ত জায়গায় সিঙ্গল ফেন্সিং দেওয়া হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া কাটা বন্ধ করতে বেড়ার তারে কাচের বোতল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, রাতের অন্ধকারে সীমান্তের ও পার থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে পাচারকারীরা ঢুকে পড়ে। তার পর গবাদি পশু থেকে ক্ষেতের ফসল চুরি করে নিয়ে যায়। অনুপ্রবেশও হয়। তা ছাড়া নানা জিনিসপত্র পাচার হয় এ পার থেকে ও পারে। আবার কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে বটে, কিন্তু মাঝেমাঝেই সেই বেড়া কাটার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তাই কাচের বোতল ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। এ বার কাঁটাতারের বেড়া কেউ জোরে টানার চেষ্টা করলেই ঝুলে থাকা বোতল বেড়ার তারে লাগবে। বোতল এবং তারের ঠোকাঠুকিতে রাতের অন্ধকারে যে শব্দ হবে, তা সহজেই শুনতে পাবেন প্রহরারত জওয়ানরা।
বিএসএফ অবশ্য সরকারি ভাবে এ নিয়ে কিছু বলতে চায়নি। অন্য দিকে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে বাংলাদেশ। সম্প্রতি দহগ্রাম-আঙ্গারপোঁতা ক্যাম্পে বিজিবি-র কর্মীরা গিয়ে বোতল ঝোলাতে নিষেধ করেন বিএসএফ জওয়ানদের। যদিও তার পরেও কাঁটাতারে নির্দিষ্ট ব্যবধানে বোতল ঝোলানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy