বিধায়কের বাড়িকর সামনে চলছে ভাঙচুর। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
বাইরের কেউ নন, দলের লোকের মদতেই হামলা চালানো হয়েছে তাঁর বাড়িতে। অভিযোগ মালদহের ইংরেজ বাজারের বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষের। তাতেই ফের একবার সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে সরাসরি গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন নীহার। ১৫০-২০০ দুষ্কৃতী এনে দাঁড়িয়ে থেকে কৃষ্ণেন্দু হামলা করিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
নীহার জানিয়েছেন, সোমবার রাতে বাড়ির মধ্যে নিজের অফিসঘরে দলীয় কর্মীসূচি নিয়ে কয়েক জনের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তিনি। সেই সময় হাঁসুয়া, বাঁশ হাতে আচমকাই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীদল। ঘর থেকে চেয়ার-টেবিল বার করে নিয়ে গিয়ে আছড়ে ভাঙা হয়। আছাড় মারা হয় বাড়ির সামনে রাখা একটি স্কুটারকেও।
কৃষ্ণেন্দু দাঁড়িয়ে থেকে এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নীহার। তিনি বলেন, ‘‘হামলার সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণেন্দু এবং যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশও। কী ধরনের অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা এসেছিল জিজ্ঞেস করে দেখুন।’’ কিন্তু কৃষ্ণেন্দু বা প্রসেনজিৎ দলেরই সদস্যের বাড়িতে হামলা করাতে যাবেন কেন? প্রশ্নের উত্তরে নীহার জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়াতেই এত রাগ।
নীহারের অভিযোগ অস্বীকার করেন কৃষ্ণেন্দু। তাঁর বক্তব্য, দুই ক্লাবের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। ওই ঘটনা তারই জের। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। একই দাবি করেন প্রসেনজিৎও। কিন্তু নীহারের স্ত্রী গায়ত্রী অভিযোগ করেন, ঘরে ঢুকে খুনের হুমকিও দেয় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির মহিলা সদস্যদের শ্লীলতাহানিও করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নীহার। তাঁকে ধৈর্য রাখতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মালদহের সর্বত্র নীহার এবং কৃষ্ণেন্দুর বিবাদ চর্চিত। গত এক দশক ধরে শত্রুতা তাঁদের মধ্যে। দীর্ঘ দিন বাম শিবিরে ছিলেন নীহার। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস জোটের হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণেন্দুকে পরাজিত করেই বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। পরে যোগ দেন তৃণমূলে। তার পরেও বিবাদ মেটেনি। তৃণমূলের জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বও বিষয়টি জানেন। এমনকি মালদহ সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দ্বন্দ্ব মেটানোর বার্তা দিয়ে যান তাঁদের। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy