Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
BJP

BJP: মমতার মিম বানিয়ে গ্রেফতার হওয়া প্রিয়াঙ্কাও বিদ্রোহে সরব, সৌমিত্রর বিরুদ্ধে চিঠি দিলীপকে

সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে সংগঠনে ‘স্বৈরতন্ত্র’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন মোর্চার কয়েকজন নেতা। নালিশ গিয়েছে অমিত শাহের কাছেও।

সৌমিত্রর বিরুদ্ধে সরব যুব মোর্চার একাংশ।

সৌমিত্রর বিরুদ্ধে সরব যুব মোর্চার একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২১ ১৩:১৬
Share: Save:

বিজেপি-র যুব সংগঠনে ক্ষোভের আগুন নিভছে না। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে সংগঠনে ‘স্বৈরতন্ত্র’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যস্তরের কয়েকজন নেতা। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠিও পাঠিয়েছেন তাঁরা। ই-মেল মারফত পাঠানো সেই অভিযোগ রাজ্য স্তরের অন্য বিজেপি নেতার পাশাপাশি গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও।

সৌমিত্রর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব যুব মোর্চার আরুশ সাহু, বনশ্রী মণ্ডল, ঝিলম বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকৃত ছবি পোস্টের অভিযোগে ২০১৯ সালে আলোচনায় আসা প্রিয়াঙ্কা শর্মাও। সেই সময়ে তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছিল। দিলীপকে পাঠানো চিঠিতে প্রিয়াঙ্কারা লিখেছেন, ‘মাননীয় সাংসদ তথা রাজ্য যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ মহাশয় যুব মোর্চাতে একনায়কতন্ত্র নীতি চালাচ্ছেন, বারংবার ভারতীয় জনতা পার্টির রীতিনীতিকে বুড়ো আঙুলে দেখিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো মেয়েদের যারা দু’মাস, ছ’মাস এই পার্টিতে এসেছেন তাঁদেরকে সরাসরি যুব মোর্চার রাজ্যের কোর কমিটিতে পদাধিকার দিচ্ছেন।’ একই সঙ্গে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে মোর্চার পুরনো মহিলা কর্মীদের উপেক্ষার অভিযোগও তোলা হয়েছে।

ইমেল করে পাঠানো হয়েছে চিঠি।

ইমেল করে পাঠানো হয়েছে চিঠি।

এই বিতর্কের সূত্রপাত, মৌমিতা সাহা নামে এক মোর্চা নেত্রীকে রাজ্য সম্পাদক পদে সৌমিত্র মনোনীত করার পরে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, একটি মণ্ডলের সম্পাদক ছিলেন মৌমিতা। সেখান থেকে সরাসরি রাজ্য সম্পাদক করাটা রীতিবিরুদ্ধ। রাজ্য কমিটিতে পুরোনোরা থাকলেও মৌমিতাকে কেন ওই পদে বসানো হয়েছে, তা নিয়েই সরব বিদ্রোহীরা। মৌমিতাকে রাজ্য সম্পাদক হিসেবে নিয়োগের পরে গত বুধবার তাঁকে যুব মোর্চার অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হয়। এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। যুব মোর্চার একাধিক কর্মীর আক্রমণের মুখে পড়েন সৌমিত্র ও মৌমিতা। শুধু তাই নয়, মৌমিতাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হওয়া নেতাদের ওই গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গ্রুপে সদস্যদের মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই গ্রুপে শুধু অ্যডমিনরাই পোস্ট করতে পারছেন। এটা হওয়ার পরেই গ্রুপ নিজে থেকে ছেড়ে দেন প্রিয়াঙ্কা। তবে ওই অভিযোগ নিয়ে দলের বাইরে কথা বলতে নারাজ তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘আমাদের কিছু অভিযোগ রয়েছে। সেটা আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাঁরা যা ব্যাবস্থা নেওয়ার নেবেন। আমি বরাবর নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে চলেছি। আগামীতেও তাই করব। সুতরাং, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চাই না।’’

সৌমিত্রর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ উঠলেও তিনি রীতিবিরুদ্ধ কাজ করেছেন বলে মানতে নারাজ বিষ্ণুপুরের সাংসদ। তিনি শনিবারই বলেন, ‘‘এমন কোনও নিয়ম নেই যে করা যাবে না। মোর্চার সভাপতি হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে আমার। আর মৌমিতা আমার পরিচিত এমন কোনও ব্যাপার নেই। যোগ্যতার বিচারেই পদ দিয়েছি। সম্প্রতি ১৯ জনকে দলের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে বলেছিলাম। সেখানে মৌমিতার কথা শুনে মনে হয়েছিল ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পারবে। আর একা সিদ্ধান্ত নিইনি। সংগঠনের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেই ঘোষণা করেছি।’’ চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি দিলীপ ঘোষ।

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Dilip Ghosh BJYM Soumitra Khan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy