Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Cooch Behar

‘মুসলিম হয়েও বিজেপি?’ পদ্মের মহিলা কর্মীকে নগ্ন করে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, ধৃত চার

তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, প্রচারে থাকার জন্যই এ সব অসত্য অভিযোগ করা হচ্ছে।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ২০:৪০
Share: Save:

মুসলিম হয়েও কেন বিজেপিতে? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নগ্ন করে মারধর করা হয়েছে বিজেপির ওই মহিলা কর্মীকে। তার পর টেনেহিঁচড়ে তাঁকে তাঁর বাড়িতে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। বিজেপির ওই মহিলা কর্মীর এই অভিযোগ ঘিরে সরগরম হল কোচবিহারের মাথাভাঙা। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, প্রচারে থাকার জন্যই এ সব অসত্য অভিযোগ করা হচ্ছে।

বিজেপির ‘নির্যাতিতা’ মহিলা কর্মী ইতিমধ্যেই মাথাভাঙার ঘোকসাডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার জন গ্রেফতারও হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা অভিযোগ করেছেন, গত ২৫ জুন তিনি যখন মাঠে কাজ করতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তৃণমূলের কয়েক জন মহিলা কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরেন। সেই সময়েই তাঁকে নগ্ন করে মারধর করা হয়। অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি মুসলিম হয়েও বিজেপি করেন বলে তাঁকে মারধর হয়। এর পর তাঁর শাড়ি খুলে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। পরে ওই অবস্থায় তাঁকে টানতে টানতে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা নিয়ে যাওয়া হয়। এতে তিনি সংজ্ঞা হারালে তাঁকে বাড়িতে ফেলে রেখে যান তৃণমূলের লোকজন।

বিজেপির দাবি, এই ঘটনার পর পুলিশও প্রথমে অভিযোগ নিচ্ছিল না। পরে চাপের মুখে পড়ে অভিযোগ গ্রহণ করে এফআইআর দায়ের করা হয়। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। এক জন মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছিল না। আমরা ডিজির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে পুলিশ অভিযোগ জমা নিয়েছে। এটা শুধু একটি ঘটনা নয়, সমস্ত জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে যে সমস্ত মামলা হয়েছে, সেই মামলাগুলো তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।’’

শাসকদল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়। বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে, বিজেপি প্রচারে আসার জন্য এই ধরনের মিথ্যে মামলা করে। এটাও সেই ধরনের ঘটনা কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy