বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় আবাসিক বিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাব দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। বুধবার সংসদে এই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালিতে কেন্দ্রের ‘একলব্য মডেল’-এর বিদ্যালয় চেয়েছেন। শমীক জানিয়েছেন, সন্দেশখালি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে শিক্ষার প্রসারের দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ‘একলব্য মডেল’-এ কেন্দ্রের আবাসিক বিদ্যালয় তৈরি হলে সন্দেশখালিতে শিক্ষার প্রসার ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ‘একলব্য মডেল’-এ আবাসিক বিদ্যালয় চালু করেছিলেন। কোনও জায়গায় ৩০ শতাংশের বেশি আদিবাসী নাগরিক থাকলে এই বিদ্যালয় স্থাপন করা যায়। পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জায়গায় এই ধরনের স্কুল রয়েছে। আদিবাসীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় সন্দেশখালিতেও ‘একলব্য মডেল’ চালু করার প্রস্তাব দিলেন শমীক। আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা এই ধরনের স্কুলে থেকে পড়াশোনা করে। অর্থাৎ, পড়াশোনার পাশাপাশি থাকার সুবিধাও পেয়ে থাকে পড়ুয়ারা। কেন্দ্রের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক এই স্কুলগুলি চালায়। গত বছর কেন্দ্রের আর্থিক বাজেটে এই ধরনের স্কুলের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, বীরভূম এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ‘একলব্য মডেল’ স্কুল রয়েছে। সেখানে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করে। এগুলি পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের অধীনে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। প্রতিটি স্কুলে ৪২০ জন করে পড়ুয়ার ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ছেলে এবং মেয়ে একসঙ্গে এই ধরনের স্কুলে পড়ে। বর্তমানে বাংলার সাতটি ‘একলব্য মডেল’ স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ২,৮২৬ জন। তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকেও যুক্ত করার প্রস্তাব দিলেন শমীক।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সেখানকার শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার, জোর করে জমি দখল, মাছের ভেড়ি তৈরি এবং মহিলাদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। গ্রামবাসীদের একাংশ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে টানা আন্দোলন চালান। শাহজাহান তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করে বিজেপির এই প্রচারের মাঝে বেশ কিছু ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায়, সন্দেশখালির বিজেপি নেতা স্বীকার করে নিচ্ছেন, গোটা আন্দোলন সাজানো। টাকার বিনিময়ে এই আন্দোলন সাজিয়েছে বিজেপি। ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। এর পর ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয় পেয়েছে। তবে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তিন লক্ষের বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন সেখানকার বিজেপি প্রার্থী তথা আন্দোলনের অন্যতম মুখ রেখা পাত্র। এ বার সেই সন্দেশখালিতেই ‘একলব্য মডেল’ স্কুল চালু করার প্রস্তাব দিলেন বিজেপি সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy