রবিবার পুণেতে একটি অনুষ্ঠানে মোদী নিজেও তাঁর সরকারের বিদেশনীতির কৃতিত্ব দাবি করেছেন। পুণের সিমবায়োসিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি জানান, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গেই ভারত সরকার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বিজেপি পুরনো স্লোগান ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’-কে ফের ব্যবহার করতে উঠে পড়ে লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশনীতির জোরে এবং কৃতিত্বেই যুদ্ধের দেশ ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের দ্রুত উদ্ধার করা গিয়েছে বলে দাবি নিয়ে প্রচারে নামতে চাইছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপি নেতারা ইউক্রেন থেকে ফেরা পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন। সেই ছবি টুইট করা ছাড়াও পড়ুয়াদের বক্তব্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভিডিয়ো। আর তা নিয়ে আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর প্রচার চলছে।
রবিবার পুণেতে একটি অনুষ্ঠানে মোদী নিজেও তাঁর সরকারের বিদেশনীতির কৃতিত্ব দাবি করেছেন। পুণের সিমবায়োসিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি জানান, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গেই ভারত সরকার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়। শুরু হয় অপারেশন গঙ্গা। মোদী জানান, ইতিমধ্যেই এক হাজারের বেশি পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটাকে বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির প্রমাণ দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘যেখানে অন্য দেশ তাদের নাগরিকদের ফেরাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছে সেখানে আমরা সক্ষম হয়েছি। এটাই প্রমাণ করে যে, বিশ্বে ভারতের প্রভাব বেড়েছে।’’
"প্রধানমন্ত্রী @narendramodi আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন..."
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) March 6, 2022
"#OperationGanga জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ..."
"ভারত সরকার আমাদের তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিয়েছে..."
যুদ্ধবিধ্বস্ত #Ukraine থেকে ফিরে আসা ভারতীয় ছাত্ররা মোদী সরকার সম্পর্কে কী বললেন তা শুনুন। pic.twitter.com/YaRw4Ms8aE
তবে মোদীর এমন বক্তব্যের আগেই পশ্চিমবঙ্গে ইউক্রেন থেকে ফেরা পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করেছেন রাজ্য নেতারা। নিজের নিজের এলাকায় ছুটছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুররা। সেই সঙ্গে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মুরাও পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছবি টুইট করেছে রাজ্য বিজেপি।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে আগেই জানা যায়, রাজ্যের অন্যতম সহ-সভাপতি মধুছন্দা করকে মাথায় রেখে এই কর্মসূচির জন্য আলাদা কমিটি তৈরি করা হয়। পুরভোট মিটতেই রাজ্য দফতরের কল সেন্টার থেকে প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। ইউক্রেন সীমান্ত পার করে হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, পোল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া বাঙালি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা, অসুবিধার কথা জানা হয়। প্রয়োজন মতো কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতেও উদ্যোগী হন তাঁরা। তবে এই কর্মসূচি শুধু বাংলাতেই নয়, চলছে গোটা দেশে। রাজ্যের এক বিজেপি সাংসদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই এমন নির্দেশ এসেছে। কোন লোকসভা এলাকায় কত পড়ুয়া ইউক্রেন থেকে ফিরছেন তার তালিকাও দেওয়া হয়েছে। সেই মতো যোগাযোগ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy