দলের ‘শহিদ দিবস’-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা যখন দিল্লি-সহ ৬ রাজ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূল, তখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী বিজেপিও পাল্টা কর্মসূচি নিচ্ছে জাতীয় স্তরে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে আজ, বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতা— সরব হবে বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য মঙ্গলবার জানান, রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে দলীয় সাংসদেরা আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দিল্লির রাজঘাটে ধর্না দেবেন। যার উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গের ‘লাগাতার রাজনৈতিক হিংসা’, বিশেষত বিধানসভা ভোট পরবর্তী ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ জাতীয় স্তরে তুলে ধরা। পাশাপাশি, আজ কলকাতায় বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়েও প্রতিবাদ-সভা হবে। সেখানে বক্তৃতা করার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য রাজ্যের নেতাদের। ওই সভায় শেষ বক্তা দিলীপবাবু। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বক্তৃতা করার কথা তাঁর। রাজঘাট এবং হেস্টিংসের কর্মসূচি রাজ্যের বুথ স্তর পর্যন্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ফেসবুক এবং ইউটিউবের মাধ্যমে শোনাবে বিজেপি।
বস্তুত, মমতা যখন আজ ‘শহিদ দিবস’-এ বিজেপিকে গণতন্ত্র এবং সংবিধান-বিরোধী দল হিসাবে তুলে ধরতে সচেষ্ট, তখন তাঁর বিরুদ্ধেও সেই অভিযোগই তুলছে বিজেপি। শমীকবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছিলেন গণতন্ত্র ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। উল্টে পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা ভোট পর্যন্ত আমাদের দলের ১২৪ জনকে শহিদ হতে হয়েছে। এ বার বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে আমাদের ৩৮ জন কর্মী খুন হয়েছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে যে ছবি উঠে এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা মানুষকে জানাতে আজ রাজঘাটে এবং হেস্টিংসে আমাদের কর্মসূচি হবে।’’
‘আক্রান্ত মানুষ, বিপন্ন গণতন্ত্র: শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ এই শিরোনামে বিজেপির আজকের সভায় ভোট-পরবর্তী হিংসায় মৃত দলীয় কর্মীদের ছবি রাখা থাকবে। বিজেপির রাজ্য দফতর, হেস্টিংস কার্যালয় থেকে শুরু করে রাজ্যের সর্বত্র দলীয় কার্যালয়ে ওই ‘শহিদ’দের ছবি প্রদর্শিত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy