বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র উপযুক্ত ‘প্রতিশোধ’ হবে রাজ্যের সচিবালয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ছবি টাঙানো! ‘সুশাসন দিবস’ উপলক্ষে এই ভাবেই দলের কর্মীদের লক্ষ্য বেঁধে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বাজপেয়ীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বুধবার বিজেপির বিধাননগর দফতরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সুকান্ত বলেন, “বাজপেয়ী অন্য ভাবনা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছিলেন। তাঁর অনশনের সময়ে রাজনাথ সিংহকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বাজপেয়ীর ভাবনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তাঁর (নমমতা) হাতেই আজ আমাদের আড়াইশো কর্মী খুন হয়েছেন। বাজপেয়ী কবি। বড় মনের মানুষ। তিনি ক্ষমা করলেও আমরা কখনও মমতাকে ক্ষমা করব না! এর প্রতিশোধ একমাত্র সম্ভব, যখন রাজ্যের সচিবালয়ে আমরা বাজপেয়ীজি’র ছবি লাগাতে পারব।”
বাজপেয়ীর আদর্শের কথা তুলে ধরে এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাম্প্রতিক দলীয় ‘টানাপড়েন’কেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। তাঁর মন্তব্য, “বাজপেয়ীকে যখন পদত্যাগ করতে হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, আমি ৪০ বছর ধরে সংসদে আছি। আমার বিরোধীরা আমায় চেনেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি টাকা দিয়ে সাংসদ কিনতে হয়, তা হলে সেই সরকারকে আমি হাত দিয়ে তো দূরে থাক, চিমটে দিয়েও ছুঁয়ে দেখব না! আর আমরা রাজ্যে দেখছি, পিসি ৭০ বছর বয়সেও ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন। ভাইপো বয়সে ছোট হয়েও পিসিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন!” বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বিঁধে তৃণমলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেছেন, ‘‘বাজপেয়ীর জন্মদিনে এ কথা বলার আগে সুকান্ত মনে রাখবেন, গুজরাতের নরসংহারের পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে (নরেন্দ্র মোদী) রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ওঁদের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা শোভা পায়?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy