ইছামতীর তীরে সরস্বতী পুজো সুকান্ত মজুমদারের। — ছবি: ফেসবুক।
যাওয়ার কথা ছিল সন্দেশখালি। তাঁকে আটকাতে হোটেলে মোতায়েন ছিল পুলিশও। কিন্তু তিনি হোটেলের পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে গেলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হাতে সরস্বতী প্রতিমা নিয়ে তিনি সোজা চলে যান টাকির ইছামতী নদীর তীরে। সেখানেই প্রতিমা বসিয়ে শুরু করেন দেন পুজো।
মঙ্গলবার বসিরহাটের এসপি অফিস অভিযানের পর রাতে টাকির একটি হোটেলে ছিলেন সুকান্ত। বুধবার সকালে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল সন্দেশখালি। এ দিকে সন্দেশখালির ১৯ জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল, সুকান্ত হোটেলেই সরস্বতী পুজো করবেন। তার পর তিনি রওনা দেবেন সন্দেশখালি। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বদল আনার কথা জানানো হয় হোটেলে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের তরফে। জানানো হয়, সরস্বতী প্রতিমা সঙ্গে করেই সন্দেশখালির দিকে রওনা দেবেন রাজ্য সভাপতি। পুলিশ যদি মাঝপথে তাঁদের আটকে দেয়, যেখানে আটকানো হবে, সেখানেই সরস্বতী পুজো শুরু করবেন তাঁরা। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা গেল, সেই পরিকল্পনাও বদলে ফেললেন সুকান্ত।
বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ টাকির হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে একটি সরস্বতী প্রতিমা কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসেন সুকান্ত। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বিজেপি ব্যবহার করে অন্য ‘হাতিয়ার’। প্রথমে যে সরস্বতী প্রতিমাটি হোটেলে পুজোর জন্য বিজেপি কর্মীরা এনেছিলেন, সেটি নিয়ে কয়েক জন সামনের গেট দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করেন। পুলিশকর্মীরা তাঁদের আটকে দেন। এরই সুযোগ নিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ছোট একটি সরস্বতীর প্রতিমা কোলে নিয়ে বেরিয়ে যান সুকান্তেরা। এর পর সুকান্তের গন্তব্য ইছামতীর ঘাট। সেখানেই প্রতিমা বসিয়ে পুজো শুরু হয়। চলতে থাকে মন্ত্রোচ্চারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy