বিজেপির বিজয়া সম্মলনীতে দিলীপ ঘোষ।ছবি: পিটিআই।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ‘ব্যর্থ’ বলে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের শাসক বা অন্য বিরোধী দলের কর্মসূচিতে করোনা-বিধি মানা হয়নি বলেও কটাক্ষ শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের মুখে। এ বার সেই বিজেপিরই উৎসব উপলক্ষে সম্মেলনে অগুনতি ‘অতিথি’ আপ্যায়ন করা হল! উপচে পড়ল ভিড়। কোথাও পরোয়া করা হল না করোনা-কালের দূরত্ব বিধির।
বিজয়া, দীপাবলি, ছট পুজো উপলক্ষে রবিবার বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে (ইজেডসিসি) সম্মেলনের আয়োজন করেছিল রাজ্য বিজেপি। ওই অনুষ্ঠানে প্রেক্ষাগৃহ উপচে মানুষের সমাগম হয়েছিল। বসার জায়গার অভাবে অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সেখানে। করোনা আবহে কোথাও দু’শো জনের বেশি জমায়েতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। কিন্তু বিজেপির এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে দৃশ্যতই জড়ো হয়েছিলেন তার কয়েক গুণ বেশি মানুষ। প্রেক্ষাগৃহের বাইরে খোলা জায়গাতেও বিপুল ভিড় ছিল। খাওয়া-দাওয়ার জায়গায় গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। রাজনৈতিক শিবিরের অনেকেই অবশ্য বলছেন, ছট পুজোয় পরিবেশ বিধি বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা যে দল প্রকাশ্যেই উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল, তাদের অনুষ্ঠানে এমন ছবি ‘অপ্রত্যাশিত’ নয়!
ওই অনুষ্ঠানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, তৃণমূল থেকে যাওয়া বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত-সহ অনেক নেতা ছিলেন। দিলীপবাবু সেখানে বক্তৃতায় তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করে ফের দাবি করেন, ‘‘আগামী বছর দু’শো আসন জিতে আমরা সরকার গড়ব!’’
তৃণমূল নেতৃত্ব ইদানীং বিজেপিকে বারবার ‘বহিরাগত’ প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, দলের রাজ্য নেতৃত্বের উপরে ভরসা না থাকায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে বাইরের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠাচ্ছেন জে পি নড্ডা , অমিত শাহেরা । তার জবাবে দিলীপবাবু এ দিন পাল্টা মন্তব্য করেছেন, ‘‘তৃণমূল সরকার শাহরুখ খানকে বাংলার ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ করেছিল। এখন যে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্যে তারা কাঁদছে, তখন তাঁর কথা তাদের মনে পড়েনি কেন? তিনি কি বাঙালি নন? শাহরুখ বাংলার লোক হয়ে গেলেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy