ছবি: সংগৃহীত।
একের পর এক বিল এনে নির্বাচিত সংস্থায় প্রশাসকের মেয়াদ বাড়ানোর রাস্তা খুলছে রাজ্য সরকার। বাংলা কি তবে কেন্দ্রকে ভোট তুলে দেওয়ার পথ দেখাচ্ছে? বিধানসভায় এই প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপি।
বিধানসভায় মঙ্গলবার ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯’ পাশ করিয়ে পুরসভায় প্রশাসক বা প্রশাসক বোর্ডের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। বিল সংক্রান্ত আলোচনায় বিজেপির পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গা প্রশ্ন তোলেন, কোনও পুরসভার মেয়াদ ফুরনোর পরে কেন নির্ধারিত সময়ে সেখানে ভোট হবে না? কেন প্রশাসক দিয়ে পুরসভা চালাতে হবে? কেন প্রশাসকের মেয়াদ বার বার বাড়াতে হবে? মনোজবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে, মানুষকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আবার পুরভোটও না করে পুরসভাগুলি প্রশাসক দিয়ে চালানো হচ্ছে। ভোটকে এত ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ এই প্রেক্ষিতেই মনোজবাবুর আরও বক্তব্য, ‘‘মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। বলা হয়, বাংলা দেশকে পথ দেখায়। পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে বাংলা কি কেন্দ্রকে ভোট তুলে দেওয়ার রাস্তা দেখাচ্ছে? ৩০৩ ধারা প্রয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে?’’
বিল নিয়ে জবাবি ভাষণে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু সিপিএম, কংগ্রেসকে একটু সময় দিতে চাই। ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে তো!’’ মন্ত্রী ব্যাখ্যা দেন, ‘‘রোজ নির্বাচন হবে নাকি? ভোট মানেই মন্ত্রী, জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক— সকলের কাজ বন্ধ। তা হলে যে সব কাজ করতে মানুষের কাছে আমরা দায়বদ্ধ, সেগুলো কখন করা হবে? তাই সব পুরসভায় একসঙ্গে হবে।’’ এর পরেই ফিরহাদ বলেন, ‘‘টিগ্গা সাহেব দেখে নেবেন, ভোট যখন হবে, পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু কর্নাটক হবে না। মাথা খুঁড়ে মরলেও সুজন চক্রবর্তীকে আপনি নিয়ে যেতে পারবেন না! এখানে তৃণমূল আবার বড় ভাবে আসবে। আমরা চাই বিরোধী দলে থাক কংগ্রেস, সিপিএম। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কিছুতেই উঠতে দেব না।’’ সুজনবাবু অবশ্য পরে বলেছেন, ‘‘সব ভোট একসঙ্গে করতে চাওয়ার মধ্যে কেন্দ্রের ‘এক ভোট’ ভাবনারই ছায়া দেখা যাচ্ছে না কি?’’
মেয়াদ ফুরনো পুরসভাগুলিতে অবিলম্বে ভোট করানোর আর্জি নিয়ে এ দিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy