—ফাইল চিত্র।
হিংসামুক্তির বার্তা দিতেই মহাত্মা গাঁধীর নামে কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। সেখানেও ‘প্রতিহিংসা’র কথাই শোনা গেল দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়।
‘গাঁধী সঙ্কল্প যাত্রা’র সপ্তম দিনে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের মনোহরপুরে এসেছিলেন দিলীপবাবু। এই এলাকা তাঁর লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুরের মধ্যেই পড়ে। মনোহরপুরের সভায় এ রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের আগামী দিনের অবস্থার কথা বলতে গিয়ে দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের জেল খাটার প্রসঙ্গ টানেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অতীত ভুলি না। বহুলোক অত্যাচার করেছে, লুট করেছে, কেউ পার পাবে না। চিদম্বরমের মতো দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজকে জেলের ভাত খাচ্ছে! সে বাঁচতে পারেনি। তোমরা কোথাকার কে?’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁরা পুলিশকে চাপে রেখে, প্ররোচনা তৈরি করে অস্থিরতা তৈরির ধারাবাহিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষকে সুষ্ঠু শাসন দিতে পেরেছে। কেন এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, সে সম্পর্কে এক বারও কিছু বলছেন না। বিজেপির কর্মসূচিই মানুষকে বাস্তুচ্যুত, জীবিকাচ্যুত করা!’’
তৃণমূলের নেতারা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন দিলীপবাবু। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘‘আর মাত্র দেড় বছর আছে। লিখে রাখুন সবার নাম। আমরা হিসেব বুঝে নেব!’’ ক্ষমতায় এলে পুলিশকেও ‘বুঝে নেওয়া’র হুমকি দেন তিনি। পুলিশ-তৃণমূল যোগসাজশকে বিঁধে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই যে পুলিশ তোমার বাড়িতে এসে স্যালুট মারছে, এক দিন তোমার কোমরে দড়ি বেঁধে এখান থেকে মেদিনীপুরের জেলে নিয়ে যাবে।’’ তাঁর সাবধান-বাণী, ‘‘সময় আছে, শুধরে যান! আমরা কিন্তু ছেড়ে কথা বলি না।’’ পার্থবাবুর জবাব, ‘‘ভয় দেখিয়ে জনসমর্থন মিলবে না। বাংলার উন্নয়নে আপনাদের পরিকল্পনা বলুন।’’
পশ্চিমবাংলায় হিংসা সব থেকে বেশি, এমন অভিযোগ তুলেই ‘গাঁধী সঙ্কল্প যাত্রা’ শুরু করেছে বিজেপি। সামাজিক, রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক ও পারিবারিক হিংসার খতিয়ান তুলে সমাজকে হিংসামুক্ত করতেই বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা গ্রামে গ্রামে হেঁটে ঘুরছেন। গাঁধীর অহিংসা ও স্বচ্ছতার কথা তুলে ধরছেন। সেই মঞ্চেই দিলীপবাবুর এমন ‘প্রতিহিংসা’র বার্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy