বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফাইল ছবি।
বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকেই ভাটার টান বিজেপি-তে। এই সময়ে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে দলকে শক্তিশালী করাই লক্ষ্য বলে মনে করছেন সদ্য ওই পদে আসা সুকান্ত মজুমদার। আত্মবিশ্বাসের সুরে বালুরঘাটের সাংসদ বলছেন, ‘‘রাজনীতি সবসময়েই কঠিন। নির্বাচনী লড়াই কঠিন। এতে সহজ বলে কিছু হয় না।’’
সুকান্তের মতে, ‘‘দলের কর্মীরা আসল সম্পদ। আমি চলে গেলেও ক্ষতি হবে না যদি কর্মী সমর্থকরা থাকে।’’ সুকান্ত দলের রাজ্য সভাপতির পদে আসার কয়েক দিন আগেই জোরাল ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। গেরুয়াশিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি-র এই ক্ষয় নিয়ে অবশ্য সুকান্তের ব্যাখ্যা, ‘‘বিজেপি আদর্শ নির্ভর দল, নেতা নির্ভর নয়। কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তরে সময়ে সময়ে নেতা তৈরি হয়। কোনও নেতা চলে গেলে কিছু হয় না।’’
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য গড়ার সুরে সুর মিলিয়েছেন বিজেপি-র কয়েক জন নেতা। সেই বিতর্কে না গিয়ে সুকান্ত বলছেন, ‘‘আমি উত্তর এবং দক্ষিণ আলাদা করে কিছু ভাবছি না। পুরোটাই পশ্চিমবঙ্গ।’’ তাঁর মতে, ‘‘এ রাজ্যে সুষম বিকাশ হয়নি। এ রাজ্যে কলকাতাকেন্দ্রিক উন্নয়ন হয়েছে।’’ উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলাদা করে আলাপ আলোচনা চালানোর কথাও জানিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।
দিলীপ ঘোষের আমলেই রাজ্যে বিজেপি-র উত্থান। সেই সাফল্যের কথা মাথায় রেখে সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘দিলীপ’দার পরে দলের রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পাওয়া একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কারণ উনি এ রাজ্যের ইতিহাসে সফলতম বিজেপি সভাপতি। উনি শক্তিশালী বিজেপি তৈরি করেছেন। সেখান থেকে দলকে আরও শক্তিশালী করা একান্ত প্রয়োজন বাংলা এবং বাঙালির স্বার্থে। সে দিকেই আমি তাকিয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy