সত্যপাল সিংহ এবং জগদম্বিকা পাল— নিজস্ব চিত্র।
সরকারি বৈঠকে যোগ দিতে এসে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের সমালোচনায় মুখর হলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পাল। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর এবং রেল মন্ত্রী পীযূষ গয়াল কৃষকদের সঙ্গে আট দফা বৈঠক করেছেন। এতদিনে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু আন্দোলন ঘিরে রাজনীতি হচ্ছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী (কংগ্রেসের অমিরন্দর সিংহ) এবং কমিউনিস্টরা আন্দোলনে মদত দিচ্ছে।’’
সোমবার বহরমপুরে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র বৈঠকে যোগ দিতে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন জগদম্বিকা এবং উত্তরপ্রদেশের আরেক বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিংহ। তাঁদের পাশেই ছিলেন অধীর। কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে দুই বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, শীর্ষ আদালত কৃষি আইন বাতিলের নির্দেশ দেয়নি। সংসদে পাশ হওয়া তিনটি আইন আপাতত স্থগিত রাখতে বলেছে। তাই এই নির্দেশ কার্যক্ষেত্রে এই কৃষি আইনের বৈধতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জগদম্বিকার এই মন্তব্যের সময় দৃশত্যই অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় অধীরকে। যদিও তিনি কিছু বলেননি। মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা বাগপতের সাংসদ সত্যপাল দাবি করেন, কৃষকদের বড় অংশ কেন্দ্রীয় কৃষি আইন সমর্থন করছেন। কারণ, এই আইন তিনটি কার্যকর হলে তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজার খুলে যাবে।
ডুমারিয়াগঞ্জের (সিদ্ধার্থনগর) গত দু’বারের বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা ২০০৯-’১৪ ওই কেন্দ্রেরই কংগ্রেস সাংসদ ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে কংগ্রেস ভেঙে গঠিত লোকতান্ত্রিক কংগ্রেস পার্টির বিধায়ক হিসেবে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন তিনি। পরে বিজেপি জোট ছেড়ে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং কংগ্রেসের সমর্থনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদেও শপথ নেন। যদিও তাঁর মেয়াদ ছিল মাত্র এক দিন। পরে কংগ্রেসে ফিরে একদা উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সরাসরি বিজেপি-তে যোগ দেন জগদম্বিকা।
আরও পড়ুন: ‘বিধায়কের নৈটির অফিস তো দলীয় কার্যালয়, যাব কেন?’
আরও পড়ুন: টাকা চাইতে গিয়ে ‘খুন’, আটক দুই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy