পাহাড়ে ধস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার (ইনসেটে)।
বিজেপির দার্জিলিংয়ের প্রাক্তন সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে ‘পরিযায়ী পাখি’ বলে কটাক্ষ করতেন তৃণমূল নেতারা। আর লোকসভা ভোটে জেতার দেড় মাসের মধ্যেই ‘চিঠি সাংসদ’ তকমা পেলেন বিজেপির বর্তমান সাংসদ রাজু বিস্তা।
কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর। মারা গিয়েছেন এক দম্পতি। তিস্তায় ভেসে যাওয়া গাড়ি ও সব পর্যটকের এখনও খোঁজ মেলেনি। ধসে রাস্তা বন্ধ থাকায় কয়েক দিন থেকেই ভোগান্তি বাড়ছে কালিম্পং-সহ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের। আর এত সবের পরেও এখন পর্যন্ত পাহাড়ে আসেননি সাংসদ। কয়েক দিন আগেই তিনি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। শনিবার একটি বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, পাহাড় সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত খোঁজ রাখছেন তিনি। পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই বিনয় তামাংপন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তথা জিটিএ-র চেয়ারম্যান অনীত থাপা ‘চিঠি সাংসদ’ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজু বিস্তাকে। অনীত বলেন, ‘‘আমরা হেরে যাওয়ার পরেও প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আর সাংসদ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে চিঠি লিখেই দায় সারছেন!’’ সাংসদ বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের কাছে যাতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছয় তার ব্যবস্থা করেছি। প্রতিদিনের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে খোঁজ রাখছি। আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি।’’ এই বিষয়টিকেই আরও কটাক্ষ করে বিনয়পন্থী কোনও কোনও নেতা বলছেন, ‘‘কোথায় বসে উনি খোঁজ রাখছেন?’’
এই ঘটনায় কিছুটা হলেও বিব্রত রাজুর সহযোগীরা। তাঁরা একান্ত আলোচনায় বলছেন, সব সাংসদই তো এখন নিজেদের কেন্দ্রে ফিরে এসেছেন। এবেলা রাজু যদি পাহাড়ে আসেন, তা হলেও কিছুটা মুখ বাঁচে।’’
অন্য দিকে, নতুন করে ধস না নামায় শনিবার দুপুরের পর থেকে যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে সেবকে। দুপুরের পর থেকে খুলে যায় শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যান চলাচল শুরু হয়েছে শিলিগুড়ি-ডুয়ার্স রুটেও। যদিও সব গাড়িই চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। এ দিন পাহাড়ের অন্য কোথাওই বড় ধসের খবর নেই। তবে মিরিক বস্তি থেকে নাগরিতে যাওয়ার রাস্তায় পাহাড়ি ঝোরার উপরে থাকা একটি বাঁশের সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। তাই কার্যত যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই এলাকার সঙ্গে। জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিঙের লোয়ার সিরসে বস্তিতে ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বীর বাহাদুর সুব্বা নামে এক স্থানীয়ের বাড়ি। মিরিক ও কালিম্পংয়ের কয়েকটি জায়গাতেও ছোট ছোট ধস নেমেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি বলেন, ‘‘নতুন করে বড় কোনও ঘটনার খবর নেই।’’ জিটিএ-র চেয়ারম্যান অনীত থাপা বলেন, ‘‘বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy