গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। নিজস্ব চিত্র
দলীয় কার্যালয় দখল করাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। রবিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির সংঘর্ষের মধ্যে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বেলা ১০টা নাগাদ শ্যামনগর ফিডার রোডে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে, বাঁশ, লাঠি হাতে নিয়ে বিজেপির ফিডার রোডের কার্যালয়টি দখল করতে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও বাধা দেন। ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যে গোটা এলাকায় দুই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। ওই পার্টি অফিসটি বিজেপি নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয় নামে পরিচিত।
ওই সংঘর্ষের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আমি মোহনপুর এলাকার একটি রক্তদান শিবিরে যাচ্ছিলাম। সেই সময় খবর পাই, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা এবং দুষ্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিস দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি ইট ছুড়তে থাকে। তিনি গাড়িতে সেই সময়ে বসে ছিলেন। তিনি নিজেও আহত হতে পারতেন বলে বিজেপি কর্মীদের দাবি। অর্জুন তৃণমূল কর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পাশাপাশি পুলিশকে দোষ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ডেপুটি কমিশনার অজয় ঠাকুর এ সমস্ত কিছুর পিছনে রয়েছেন। পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটেছে।’’
তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের হাতাহাতি (বাঁ দিকে)। ঘটনাস্থলে অর্জুন সিংহ। (ডান দিকে)।
ঘটনার পরেই এলকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। ঘটনাস্থলে যায় বড় পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন খোদ সাংসদও। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ লোকসভা নির্বাচনের আগে পরে বিজেপি আমাদের ৩০০ দলীয় কার্যালয় দখল করে নিয়েছিল। শ্যামনগরের ওই পার্টি অফিসটাও সেই রকমই একটা দখল করা কার্যালয়। আমরা তো বিজেপির পার্টি অফিস দখল করছি না। আমরা আমাদের দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস ফেরত নিচ্ছি। এখনও ওই এলাকায় ১৮০ পার্টি অফিস দখল হয়ে রয়েছে। আমরা সেগুলি ফেরত নেব।’’
বেশ কয়েক সপ্তাহ ব্যারাকপুর এলাকা ঠান্ডা থাকার পর রবিবারের ঘটনা ফের শিল্পাঞ্চলে অশান্তির আগুন ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy