Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
BJP

BJP: ক্ষোভ বাড়ছে বিধায়ক মহলেও

শুক্রবার অভিযোগগুলি নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দলীয় বিধায়কদের বৈঠক করার কথা।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২ ০৬:০৮
Share: Save:

এত দিন অভিযোগ করছিলেন কয়েক জন রাজ্য নেতা। এ বার রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগই উঠে এল দলীয় বিধায়কদের চর্চায়। বিজেপি বিধায়কদের অনেকেরই অভিযোগ, দলে যোগ্য ব্যক্তির বদলে কোনও কোনও নেতার ‘কাছের মানুষ’কে গুরুত্ব এবং পদ দেওয়া হচ্ছে। মানুষ শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে প্রস্তুত। কিন্তু তা নেওয়ার জন্য নেতৃত্ব প্রস্তুত নন। তাঁরা দলে ‘স্বজনপোষণ’ করতে ব্যস্ত। কোনও কোনও নেতার ব্যবহারে আহত হয়ে অনেকে দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন। অথচ সেই নেতাদের ব্যবহার শোধরানোর চেষ্টা হচ্ছে না। বিধানসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বিধায়কদের সঙ্গে দলের কোনও সমন্বয় করা হচ্ছে না। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর কাছে ইতিমধ্যেই এই সব অভিযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কাল, শুক্রবার অভিযোগগুলি নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দলীয় বিধায়কদের বৈঠক করার কথা।

গত শনিবার জাতীয় গ্রন্থাগারের অডিটোরিয়ামে এই সব অভিযোগেই সরব হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং কয়েক জন জেলা স্তরের নেতা। রাজ্য বিজেপির ‘সাময়িক ভাবে বরখাস্ত’ নেতা রীতেশ তিওয়ারিও প্রকাশ্যে একই অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি, প্রকাশ্যে না বললেও রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু-সহ অনেকেই এই অভিযোগগুলিতে সহমত। এমনকি, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও কখনও বলেননি, দলে কোনও সমস্যা নেই। বরং, তাঁর বক্তব্য, এখন যাঁরা রাজ্যে দল পরিচালনা করছেন, তাঁদের সকলের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় সমস্যা একটা হচ্ছে। বুধবার দিলীপ দিল্লিতে বলেন, “আপনাদের নিশ্চয়ই দাবি আছে। দলে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত কথা বলার সুযোগও আছে। সেটা করা উচিত। দলের সমস্যা দলেই মেটানো উচিত। একমাত্র বিজেপির মধ্যে সেই ব্যবস্থা আছে।”

প্রসঙ্গত, লকেট, সায়ন্তনদের শিবিরে সোমবার পর্যন্ত ছিলেন বিজেপির আর এক ‘সাময়িক ভাবে বরখাস্ত’ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। মঙ্গলবার তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। সোমবারও তাঁকে লকেট, সায়ন্তন, রাজু, রীতেশের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, “যাঁরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন, তাঁদেরও ভাবা উচিত, কার উপরে ভরসা করে আন্দোলন করছিলেন। কাউকে নেতা বানিয়ে বার বার নিজেদের হাল্কা প্রমাণ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।” দিলীপের আরও দাবি, “যাঁরা হঠাৎ এসেছিলেন, তাঁরা চলে যাচ্ছে। যাঁরা মতাদর্শে আস্থা রেখে রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে দলকে দাঁড় করিয়েছেন, তাঁরা যাচ্ছেন না।”

অন্য দিকে, লকেট এ দিন জয়প্রকাশ সম্পর্কে বলেন, “যে দলের কাছ থেকে লাথি খেয়েছেন, সেই দলেই গিয়ে ভিড়েছেন উনি। আরও তিন-চারটি জয়প্রকাশ হয়তো ভেতরে থাকতে পারে। তারা যত তাড়াতাড়ি যায়, ততই মঙ্গল। যারা ভিতরে থেকে দলের বদনাম করবে, তাদের চিহ্নিত করা হবে। দল ছেড়ে দিয়েও অনেকে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকছে। ভিতরের খবর বাইরে দিচ্ছে। এদের চিহ্নিত করে আগে বার করা হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

BJP West Bengal Dilip Ghosh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy