Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাধা, অভিযুক্ত শাসক দল

বুধবার নামখানায় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে আর এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কেও ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়েছিল। তবে সে দিন বাইক চালিয়ে গ্রামে ঘোরেন বাবুল। ত্রাণ শিবিরে অব্যবস্থার অভিযোগ শোনেন।

কাকদ্বীপ, নামখানায় দুর্গতদের কাছে সুজন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।

কাকদ্বীপ, নামখানায় দুর্গতদের কাছে সুজন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।

সামসুল হুদা
গোসাবা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫০
Share: Save:

তৃণমূলের বাধায় বুলবুল-বিধ্বস্ত গোসাবার গ্রামে ঢুকতে পারলেন না বলে অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। এ দিন মন্ত্রীর সফর ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় মারপিট বাধে। জখম হন কয়েক জন। দেবশ্রীকে ঘিরে ধরে গো-ব্যাক ধ্বনি ওঠে। কালো পতাকা দেখানো হয়।

বুধবার নামখানায় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে আর এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কেও ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়েছিল। তবে সে দিন বাইক চালিয়ে গ্রামে ঘোরেন বাবুল। ত্রাণ শিবিরে অব্যবস্থার অভিযোগ শোনেন।

শুক্রবার দুপুরে দেবশ্রী এসেছিলেন গোসাবার দয়াপুরে। এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি পরে বলেন, ‘‘তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করে আমাকে এলাকায় ঢুকতেই দিল না।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘এখানকার মানুষ ঠিকমতো ত্রাণ পাচ্ছেন না। সেই সত্যি ঢাকতেই তৃণমূল এমন করছে।’’ এ দিন আরামবাগে এক অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকেরা বর্বর হয়ে গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন: শুধুই এনআরসি, পাল্টা জবাব বিজেপির

গোসাবার তৃণমূলের বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর অবশ্য বলেন, ‘‘ওই এলাকায় আমাদের দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আসছেন বলে বিজেপি সে সব ছিঁড়ে ফেলে। এ নিয়ে আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করলে ওরা মারধর করে। আমাদের এক জনের মাথা ফেটেছে। এই খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।’’

পতন: তৃণমূল-বিজেপির ধাক্কাধাক্কিতে নদীতে পড়ে গিয়েছেন এক মহিলা। শুক্রবার গোসাবার দয়াপুরে।
ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

এ দিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গদখালি থেকে লঞ্চে দয়াপুরে পৌঁছনোর আগে থেকেই খেয়াঘাটে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা কালো পতাকা, ‘গো-ব্যাক’ লেখা প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে হাজির ছিলেন। বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরাও জড়ো হতে থাকেন। দেবশ্রী পৌঁছনোর আগেই দু’পক্ষের মারপিট বাধে। বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ লাঠি চালিয়ে দু’পক্ষকে হটিয়ে দেয়। দেবশ্রী ঘাটে পৌঁছতেই ফের উত্তেজনা ছড়ায়। আর এক দফা হাতাহাতি-মারামারি বাধে। ধস্তাধস্তিতে জলে পড়েন অনেকে। পুলিশও পড়ে নদীতে।

পুলিশ ব্যারিকেড করে কোনও রকমে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়। দেবশ্রী শেষমেশ গ্রামে ঢোকেননি। খানিকক্ষণ পরে পুলিশ তাঁকে আবার ব্যারিকেড করে লঞ্চে তুলে দেয়। যাওয়ার আগে দেবশ্রী ঘাটে জড়ো হওয়া দলের কর্মীদের বলেন, ‘‘আপনারা মনোবল হারাবেন না। তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এলাকার দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে দয়াপুরে বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। আমাদের কর্মীরা এর প্রতিবাদ করায় তিনি এলাকায় না গিয়ে ফিরে যান।’’

কেন্দ্রীয় দু’টি দল এ দিন হাসনাবাদ ও কাকদ্বীপে যায়। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে পর্যাপ্ত ত্রাণের দাবি জানান বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy