রাজ্যপালের বাজেট ভাষনের সময় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি বিধায়করা। ফাইল চিত্র।
সোমবার থেকে শুরু হবে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। দুপুরে বাজেট-বক্তৃতা দিতে আসবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সরকার পক্ষের হয়ে বাজেট-বক্তৃতা দেবেন তিনি। কিন্তু বিজেপি পরিষদীয় দলের অন্দরমহলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পুরভোটে শাসকদলের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বাজেট-ভাষণের সময় বিক্ষোভ দেখাতে পারে্ন বিধায়করা। এখনও নিজেদের রণকৌশল ঘোষণা করেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই যে তাঁরা সরকার পক্ষের সঙ্গে বিরোধের পথে যাবেন, তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বিধানসভার কার্যাবিবরণী ঠিক করতে ‘বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটি’-র (বিএ) বৈঠক হবে। সেই দু’টি বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘মুকুল রায়কে জোর করে ‘পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি’-র (পিএসি) চেয়ারম্যান পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথম বারের সর্বদল এবং বিএ কমিটির বৈঠকে গিয়েছিলাম। কিন্তু, বিধানসভা কর্তৃপক্ষ এখনও পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুলকে রেখে দিয়েছে। তাই আমরা তৃণমূলের সঙ্গে এক টেবিলে বসে চা খেতে চাই না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যত দিন মুকুল ওই পদে থাকবেন, তত দিন আমরা বিধানসভার কার্যবিবরণী সংক্রান্ত বৈঠকে যাব না।’’
শুভেন্দুর এমন ঘোষণা থেকেই বাজেট অধিবেশনে বিজেপি পরিষদীয় দল কড়া অবস্থান নিতে পারে বলেই মনে করছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। কারণ গত বছর বিধানসভা ভোটের পর যে বাজেট অধিবেশন বসেছিল, তাতেও বক্তৃতা দিয়ে বাজেট অধিবেশনের সূচনা করতে এসেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিরোধী বিধায়করা চিৎকার চেঁচামেচি করায়, দু’মিনিটের বেশি বাজেট-ভাষণ পড়তে পারেননি ধনখড়। আর এ বারের পুরভোটেও শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে এসেছে বিজেপি। তাই রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এ বারেও রাজ্যপালের বক্তৃতার সময় পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন বিজেপি বিধায়করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy