—ফাইল চিত্র
চমক ছাড়া স্থানীয় মুখে ভরসা রেখেই বিধাননগর পুর-নিগমের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। কলকাতা পুরসভায় বিজেপি যে কৌশল নিয়েছিল, বিধাননগরেও একই রাস্তায় হাঁটল তারা। তালিকায় বেশির ভাগই নতুন মুখ। শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী করেছে তৃণমূল ছেড়ে আসা বিদায়ী কাউন্সিলর দেবাশিস জানাকে। একই দিনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে সিপিএমও। বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯টিতে লড়াই করবে বামফ্রন্ট।
শাসক দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতে। তার পরেই শুক্রবার দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘বিধাননগরে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি আছে। তার ভিত্তিতেই আমরা লড়াই করব।’’ গত লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে বিধাননগরে এগিয়েছিল বিজেপি। তবে বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে তারা নেমে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। এ সবের প্রেক্ষিতেই পুরভোটে তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় স্তরে দলের কাজ করছেন, এমন মুখই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রার্থী তালিকায়। মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দোলা ঘোষ, প্রমিতা সাহা ঘোষ, স্বাগতা দেব, প্রিয়ঙ্কা চক্রবর্তীরা।
আসানসোল ও চন্দননগরের জন্যও এ দিন প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে। চন্দননগরেও তেমন কোনও চমক নেই।
বামেদের প্রার্থী তালিকায় প্রাক্তন কাউন্সিলর যেমন আছেন, তেমনই এলাকায় আন্দোলনের মুখ, শাসক দলের হাতে ‘আক্রান্ত’ বা ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-এর কাজ করা কর্মীরাও জায়গা পেয়েছেন। সাংগঠনিক কারণে ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী না দিতে পারার কথা বলেছে বামেরা। সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ওই দু’টি ওয়ার্ডে তৃণমূল ও বিজেপি-বিরোধী কোনও প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে। বিধাননগরে অবশ্য ফ্রন্টের অন্দরে শরিকি টানাপড়েনও মাথাচাড়া দিয়েছে। শরিক সিপিআইয়ের জন্য ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড ছেড়েছে সিপিএম। কিন্তু ‘সাংগঠনিক দুর্বলতার’ কথা বলে সিপিআই ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে লড়তে নারাজ। তাদের দাবি, ৩২ বা ৩৩ নম্বরে তাদের লড়তে দেওয়া হোক। ওই দু’টি ওয়ার্ডেই এ দিন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে সিপিএম। দাবি মানা না হলে তারাও প্রার্থী দিয়ে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে সিপিআই। তবে সিপিএম সূত্রের বক্তব্য, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার। তার আগে জট কাটাতে আরও আলোচনা চলবে। আর এক শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক লড়বে দু’টি ওয়ার্ডে। তার মধ্যে সব্যসাচী-দেবাশিসের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড আছে।
বিধাননগরে ২০১৫ সালের পুরভোট রক্তাক্ত হয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমও। সেই ঘটনা উল্লেখ করে এ দিন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস বলেছেন, ‘‘বিধাননগরের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা সময় বলবে। দখলের রাজনীতি করছে তৃণমূল আর বিজেপির ভোট বিপুল ভাবে কমছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির যে পরিবর্তন হয়েছে, তাতে মানুষ ভোট দিতে পারলে দু’দলেরই বিপদ নিশ্চিত।’’ পলাশের দাবি, তাঁরা জয়ের লক্ষ্যেই বিধাননগরে লড়তে নামছেন। অন্তত বিজেপিকে সরিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে বামেরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy