বৈঠক শেষে সৌমিত্র বলেন, ‘‘বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। শুভেন্দু দার সঙ্গে আমার, অর্জুন দার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক।
— ছবি সংগৃহীত
ব্যারাকপুরের বিজেপি সংসদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার মাঝেই শুক্রবার নিজাম প্যালেসে বৈঠক করলেন তিন তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা। এদিনের বৈঠকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ব্যারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিংহ ও বিষ্ণুপুরের সংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বেশ কিছু দিন ধরে পাট শিল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন অর্জুন সিংহ। এমনকি কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দেগেছেন তিনি। এমনকি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও সুর নরম হয়নি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এই ডাকসাইটে বিজেপি নেতার। স্বভাবতই তৃণমূল যোগের জল্পনা তৈরি হয় অর্জুনকে ঘিরে। এরই মাঝে তাঁকে দেখা যায় জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে একসঙ্গে কলস যাত্রায় হাঁটতে। এ দিন সকালেও দিল্লি থেকে ফেরার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি তাঁর দলবদল জল্পনা বাড়িয়ে বলেন, ‘‘কে কখন কোথায় যাবে, তা সময় বলবে।’’ এর পরই আসরে নামেন শুভেন্দু অধিকারী। তড়িঘড়ি নিজাম প্যালেসে বৈঠক ডাকা হয়। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই দলে ফের ভাঙন ঠেকাতে সক্রিয় হয়েছেন শুভেন্দু। বৈঠকে ডাকা হয় নানা সময় ‘বেসুরো’ সৌমিত্র খাঁকেও। কোনও পক্ষই মুখ খুলতে না চাইলেও সূত্রের দাবি, অর্জুনকে অনেকটাই নিরস্ত করতে সফল হয়েছেন শুভেন্দু। অনেক বিষয়েই শুভেন্দুর বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হয়েছেন অর্জুন।
বৈঠক শেষে সৌমিত্র বলেন, ‘‘বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। শুভেন্দু দার সঙ্গে আমার, অর্জুন দার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। সেই সূত্রেই বৈঠক। এর পিছনে অন্য কোনও সমীকরণ নেই। অর্জুন দা কোনও দিনই বিজেপি ছাড়বেন বলেননি। উনি বিজেপিতেই থাকবেন।’’ অবশ্য অর্জুনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস করলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy