ব্রাত্য এবং সায়ন্তন। ফাইল চিত্র।
বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা শিক্ষিকাদের মধ্যে দু’জন ভর্তি রয়েছেন নীলরতন সরকার হাসপাতালে। তাঁদের দেখতে বুধবার নীলরতনে গেলেন বিরোধী দলের নেতারা। বুধবার সকালে সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এবং দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্চনা মজুমদার। দুপুর গড়াতেই সেখানে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ নস্কর। আইএসএফ-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও গিয়েছিলেন সেখানে।
এই ঘটনার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সরাসরি দায়ী করেছেন সায়ন্তন। ব্রাত্যের উদ্দেশে তাঁর তোপ, ‘‘ত্রিপুরা যাওয়া কমিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর উচিত এই সমস্যার সমাধান করা।’’ এই ঘটনা বাংলার লজ্জা বাড়িয়েছে বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চোধুরী।
বেশ কিছু দিন ধরেই বদলি ইস্যুতে আন্দোলন চালাচ্ছেন ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। মঙ্গলবার বিকাশভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষিকা। অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের ভর্তি করানো হয় আরজি কর এবং এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই পাঁচ জন। এর মধ্যে শিখা দাস এবং জ্যোৎস্না টুডু নামের দুই শিক্ষিকা ভর্তি রয়েছেন এনআরএসে। বুধবার তাঁদের দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
অসুস্থ শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপি নেত্রী অর্চনা বলেছেন, ‘‘আমি শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের প্রাথমিক বিপদ কেটে গিয়েছে। তবে রাজ্য সরকার যে ভাবে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদ করছি।’’ এই ঘটনার জন্য সায়ন্তন সরাসরি দায়ী করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন। সায়ন্তন বলেছেন, ‘‘ত্রিপুরা যাচ্ছেন, সাংবাদিক বৈঠক করছেন। কিন্তু সমাজের মেরুদণ্ড শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করার সময় নেই। ত্রিপুরা যাওয়া কমিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।’’ বিজেপি-শাসিত রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
শিক্ষিকাদের আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে অধীর বলেছেন, ‘‘বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের আত্মহত্যার চেষ্টা সারা বাংলাকে লজ্জিত ও কলঙ্কিত করছে। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করছি।’’ বুধবার আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকিও এনআরএসে যান। তিনিও বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy