দাঁতনের সভা নিয়ে বৈঠকে রমাপ্রসাদ গিরি (লাল সোয়েটার পরিহিত)-সহ বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-তে যোগদানের পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শুরু করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর দাঁতনে প্রথম সভা করবেন তিনি। তাঁর আগে অবশ্য বৃহস্পতিবার তাঁর নিজের শহর কাঁথিতে দলের মহামিছিলে দেখা যাবে শুভেন্দুকে।
বিজেপি সূত্রে খবর, জেলার কেশিয়াড়ি বিধানসভার অন্তর্গত দাঁতন এলাকায় শুভেন্দুর সভা ঘিরে শুরু হয়েছে কর্মব্যস্ততা। জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মীরা ওই সভার প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন। দাঁতনে পদযাত্রার পাশাপাশি একটি জনসভাতে ভাষণ দেবেন শুভেন্দু। দলের জেলা সভাপতি সুমিত দাসের উপস্থিতিতে একদিন আগেই দাঁতন এলাকার একটি পার্টি অফিসে তা নিয়ে বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সেই বৈঠকে তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া রমাপ্রসাদ গিরি উপস্থিত ছিলেন।
শুভেন্দুর জনসভার জন্য কোথায় মঞ্চ তৈরি করা হবে বা কোন রাস্তা দিয়ে তাঁর পদযাত্রা হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্ব। রমাপ্রসাদ গিরি সেই কর্মসূচির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছেন। বুধবার রমাপ্রসাদ বলেন, “সোমবার দাঁতনে একটি জনসভায় যোগ দিতে আসবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে।” অন্য দিকে, দলের জেলা সভাপতি শমিত কুমার দাশ বলেন, “তৃণমূল থেকে যাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে জেলা পার্টি অফিসে। জেলায় একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও কোন দিন কে আসবেন, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুন: বুধবার দুর্গে হানা, বৃহস্পতিবার গড়রক্ষায় কাঁথিতে নামছেন শুভেন্দু
আরও পড়ুন: বিধায়কহীন নন্দীগ্রামের তেখালি মাঠে ৭ জানুয়ারি সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা
দলীয় সূত্রে খবর, আগামী রবিবার খড়্গপুর শহরেও একটি জনসভা করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু পরবর্তী কালে তা পরিবর্তন করা হয়। সোমবার জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে আগামী দু'দিনের মধ্যে মেদিনীপুর জেলা বিজেপি-র পার্টি অফিসে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে শুভেন্দুর।
বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু দলে আসার পর থেকেই তাঁর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ জানানোর ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগড় এলাকায় শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সমস্ত ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি-র আরও দাবি, জেলার কোন কোন নেতা শুভেন্দু সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সে সম্পর্কেও খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতৃত্বরা। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “কে কোথায় সভা করলেন, তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। যাঁরা বেইমান, তাঁরা বেইমানের মতো কাজ করেছেন। তা নিয়ে দলের ভাবনা-চিন্তার বিষয় নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy