Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
BJP

BJP: কৌটো হাতে রাস্তায় সুকান্ত-শুভেন্দুরা, পদ্মের অর্থসংগ্রহ অভিযান মনে করাল বামদের সংস্কৃতি

বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলনের আগে বাম দলগুলি এই ভাবে কৌটো নেড়ে টাকা তুলেছে ক্ষমতায় থাকার সময়েও। তবে সিপিএম মূলত টাকা তুলত লাল শালু পেতে।

বুধবার ধর্মতলায় সুকান্ত ও শুভেন্দু।

বুধবার ধর্মতলায় সুকান্ত ও শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২২ ২০:৫৭
Share: Save:

রাজনৈতিক আক্রমণে আমাদের নিহত কর্মীদের পরিবারের জন্য যে যেমন পারেন অর্থ সাহায্য করুন। বুধবার ধর্মতলা এলাকায় এই ভাবেই জনে জনে টাকা চাইলেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের হাতেও ছিল অর্থসংগ্রহের কৌটো। বিজেপির পক্ষে এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘শহিদ সম্মাননিধি সংগ্রহ’। দলের পক্ষে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার নিহত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে অর্থ সাহায্য নিয়ে। তার আগে এই ভাবে জনগণের থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

কৌটো নিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলা দেখলেই মনে পড়ে ছোট-বড় বামপন্থী রাজনৈতিক দলের কথা। বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলনের আগে বামেরা এই ভাবে টাকা তুলেছে ক্ষমতায় থাকার সময়েও। তবে সিপিএম টাকা তুলত লাল শালুতে। আবার এই কলকাতাতেই লাল রঙের বালতি নিয়ে অর্থসংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুকে। বিজেপির বুধবারের অর্থ সংগ্রহ অনেকটাই ছিল প্রতীকী। বিজেপি সূত্রেই খবর, নিহত দলীয় কর্মীদের অর্থ সাহায্যের বড় অংশটাই আসবে দলীয় তহবিল থেকে। তার সঙ্গে যুক্ত হবে সংগৃহীত অর্থ।

দিলীপ যখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন সেই সময়ে বা তার আগেও এ ভাবে অর্থ সংগ্রহ করতে পথে নামতে দেখা যায়নি নেতাদের। কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে দলের তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ হয়। তবে সেটা ছিল মূলত অনলাইনে। কিন্তু এ বার সাধারণ মানুষের কাছে কৌটো হাতে কেন নামলেন নেতারা। বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, রাজ্যে তৃণমূলের আক্রমণে বিজেপি কর্মীরা যে প্রাণ হারাচ্ছেন সেই অভিযোগ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই কর্মসূচি।

এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘২০১৮ সাল থেকে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের উপরে আক্রমণ করছে। এর মধ্যে দু’শো জনের বেশি নিহত হয়েছেন। গত এক বছরেই শহিদ হয়েছেন ৫৭ জন। এর বিচার চেয়ে আমাদের আন্দোলন চলছে। তার সঙ্গে সঙ্গে নিহতদের পরিবারের পাশেও আমরা দাঁড়াতে চাই। আমি নিজেও যাব কয়েকটি পরিবারের কাছে। রাজ্যের অন্য নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও যাবেন। সেই লক্ষ্যেই অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’

অন্য দিকে, শুভেন্দু বুধবার বলেন, ‘‘অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য বাংলা থেকে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। আর যাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ার জন্য খুন হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের জন্য মানুষের কাছ থেকে আমরা অর্থ সংগ্রহ করছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy