কোনও ‘বিখ্যাত’ প্রার্থী দরকার নেই। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে ‘ধর্ষিতা রমণী’ রাধারানি আড়িই যথেষ্ট বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই আসন থেকে তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু। তাঁর দলত্যাগের পর নন্দীগ্রামে গিয়ে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তার পর থেকে প্রতি জনসভাতেই তা নিয়ে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন শুভেন্দু। মমতার ঘোষণার দিনেই তিনি দক্ষিণ কলকাতা বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে মমতাকে ‘হাফ লাখ’ ভোটে হারাতে না পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! সেই আক্রমণেই তিনি নতুন ‘মাত্রা’ দিলেন বৃহস্পতিবার।
পুরুলিয়ার জয়পুরে আরবিবি হাইস্কুল মাঠের জনসভায় রাধারনি আড়ির নামোল্লেখ করেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলিচালনার দিনই গোকুলনগরের বাসিন্দা রাধারানিকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই রাধারানিও মমতাকে হারাতে ‘যথেষ্ট’ বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের প্রার্থী প্রসঙ্গে বুধবার আনন্দবাজার ডিজিটালে প্রকাশিত একটি খবরেরও উল্লেখ করেন শুভেন্দু। এবং বলেন, ‘‘পার্টি যদি বলে আমিই লড়ব। আর পার্টি যাকে দেবে…। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর জন্য বিখ্যাত প্রার্থী দরকার নাকি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর জন্য ধর্ষিতা রমণী রাধারানি আড়িই যথেষ্ট।’’
বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করার সময় শুভেন্দু অভিযোগ করেন, আদিবাসীদের প্রতি বঞ্চনা করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ৯৫ শতাংশ ওবিসি-র সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। সভায় শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো এবং প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করার পাশাপাশি সদ্য পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলার প্রাপ্তির কথাও উল্লেখ করেন শুভেন্দু। আবার বলেন, উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যে একই রাজনৈতিক দলের সরকার থাকা দরকার।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় যাওয়ার পথে শুভেন্দুর কনভয়ের একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। জখম হন এক নিরাপত্তা কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর দেড়টা নাগাদ বাঁকুড়ার ওন্দা থানা এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে কলিসেন মোড়ের কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে কনভয়ের ছ’টি গাড়ির মধ্যে দু’টি গাড়ি। পঞ্চম গাড়িটির সঙ্গে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মিনি ট্রাকের ধাক্কা লাগে।আচমকা ওই গাড়িটি থেমে যাওয়ায় পিছনের গাড়িটি গিয়ে সেটিকে ধাক্কা মারে। তবে শুভেন্দুর গাড়ি সেখানে থামেনি। দুর্ঘটনায় এক নিরাপত্তা রক্ষী ও লরির চালক জখম হন। দু’জনকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ তিনটি গাড়িই আটক করেছে।
জয়পুরের সভাস্থলে ঢোকার আগে তৃণমূল দফতরের সামনে শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখায় তৃণমূল। ‘শুভেন্দু গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে। শুভেন্দু সভায় দাবি করেন, বুধবার রাতে তাঁর সভামঞ্চের একাংশের আগুন লাগিয়ে সভা বানচাল করার চেষ্টা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy