Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Abhishek Banerjee

ভাঙন ও জমি উদ্ধার, দুই নেতার দুই পরীক্ষা

অভিষেক যে কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করবেন, সেটা আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দুর আলিপুরদুয়ার সফর ঠিক হয়েছে সেখানকার বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের দল বদলের পরে।

Picture of Suvendu Adhikari and Abhishek Banerjee.

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নমিতেশ ঘোষ, পার্থ চক্রবর্তী
কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৩
Share: Save:

বিজেপির সঙ্কট, দলের ভাঙন। তৃণমূলের কাছে লড়াইটা জমি পুনরুদ্ধারের। সেই সমস্যা মোকাবিলায় আজ, শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে আসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরদিন, শনিবার পাশের জেলা কোচবিহারে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক যে কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করবেন, সেটা আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দুর আলিপুরদুয়ার সফর ঠিক হয়েছে সেখানকার বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের দল বদলের পরে। বস্তুত, বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পরে যেখানে বিজেপি বিধায়ক দল বদলেছেন, পরে সেখানে গিয়ে সভা বা পদযাত্রা করেছেন শুভেন্দু। এ বারের সফরও সেই ‘রীতি’ মেনেই।

বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে যে আলিপুরদুয়ার তাদের শক্ত ঘাঁটি, সেখানে প্রথম ধাক্কা লাগে গত পুরভোটে। আলিপুরদুয়ার শহর ও ফালাকাটা জিতে নেয় তৃণমূল। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন নেতা যে ভাবে বঙ্গভঙ্গ নিয়ে মন্তব্য করছিলেন, তারই প্রভাব পড়ল না তো শহুরে মধ্যবিত্ত ভোটে? সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুমন দলত্যাগ করেন। তার পরে তিনি বাংলা ভাগ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। স্থানীয় বিজেপির বক্তব্য, এই দুই ঘটনার কী প্রভাব মানুষের উপরে পড়বে, তা স্পষ্ট নয়। দলের একাংশের বক্তব্য, এই জেলা রাজবংশী জনসংখ্যা ভালই। তা সত্ত্বেও শুভেন্দু কী বার্তা দেন, সে দিকে তাকিয়ে সকলে।

বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, “শুভেন্দুর আগেই কালচিনিতে আসার কথা ছিল। সে কর্মসূচি তখন হয়নি। আলিপুরদুয়ার শহরে মিছিলের পরে, লাগোয়া নবীন ক্লাব ময়দানে তিনি সভা করবেন।’’ উল্টো দিকে, সুমন কাঞ্জিলাল এ দিন বলেন, “রাজ্য ভাগের দাবি নিয়ে বিজেপি দ্বিচারিতা করছে। ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু তা ভুল বলে প্রমাণ করুন।’’

শনিবার পাশের জেলা কোচবিহারে অভিষেকের সভা। তৃণমূল সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই সম্ভবত অভিষেক জেলায় পৌঁছে যাবেন। পরদিন যে মাথাভাঙায় তিনি সভা করবেন, সেই জায়গাটি এখন গেরুয়া প্রভাবিত এলাকা বলেই পরিচিত। মাথাভাঙা মহকুমায় দুই বিধানসভা— মাথাভাঙা ও শীতলখুচি তো বটেই, লাগোয়া কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভাও বিজেপির দখলে। এই তিন এলাকায় রাজবংশী ভোটার যথেষ্ট। আবার শীতলখুচি, সিতাই ও মেখলিগঞ্জ বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। সেখানকার সংখ্যালঘু মানুষ রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কী ভাবছেন, তা অভিষেকের মুখে শুনতে চান এলাকার নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘দল যেমন নির্দেশ দিয়েছে, সেই মতো সভা হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE