(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে এ রাজ্যের সন্দেশখালির ‘ভয়াবহতা’ তুলে ধরলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সন্ধ্যায় বাম-দুর্গ হিসাবে পরিচিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিপ্রা হস্টেলের হল ঘরে হয়েছে ছাত্রছাত্রী সমাবেশ। সেখানেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা করলেন সুকান্ত ও শুভেন্দু। পদ্মশিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরেই সুকান্ত দিল্লি পৌঁছন।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্ঘ পরিবারের শিক্ষা সংগঠন এবিভিপি শনিবারের সম্মেলনের আয়োজন করে। তবে সংগঠনের নামে সম্মেলন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিতরেই শিপ্রা হস্টেলের হলঘরে সন্দেশখালি নিয়ে বক্তৃতা করেছেন সুকান্ত। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন তিনি। প্রথম দিন থেকে সন্দেশখালিতে কী কী হয়েছে তা সমস্তটাই বলেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, বিজেপি কেমন ভাবে সেখানে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। বাম ছাত্র রাজনীতির ঘাঁটিতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, “বাম জমানার মতোই অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। মমতা সরকারের কোনও মমতা নেই মানুষের প্রতি।” শুভেন্দু সকল ছাত্রছাত্রীদের সন্দেশখালির পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
সন্দেশখালির উত্তাপ থেকে ভোটের ‘ডিভিডেন্ড’ পেতে এ বার বাংলার বাইরেও পাড়ি দিল বিজেপি। পদ্মশিবির প্রথম থেকেই তৃণমূলের নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অনুকরণে সাজিয়েছে সন্দেশখালি অভিযান। নন্দীগ্রামের মাটি আঁকড়ে থেকেই বাংলা থেকে বামফ্রন্টকে সরানোর জমি মজবুত করেছিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটে সাফল্য পেতে এ বার সন্দেশখালির মাটিকেই লোকসভা ভোটের ‘ঘাঁটি’ বানাতে চাইছে বিজেপি।
গত কয়েক দিন ধরে সন্দেশখালি নিয়ে একের পর এক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিভিন্ন কমিশন সন্দেশখালি আসায় তার থেকেও ‘সুবিধা’ তুলতে চেয়েছে তারা। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেটা চান দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও। সুকান্ত তো বটেই, তার সঙ্গে শুভেন্দুও সন্দেশখালি গিয়েছেন। বাধা পেয়েছেন একাধিক বার। সেই সঙ্গে দলের বিভিন্ন মোর্চা নেতৃত্ব সন্দেশখালি অভিযান চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন সুকান্ত। শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার তৈরি ‘দ্য বিগ রিভিল– দ্য সন্দেশখালি শকার’ নামে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ধর্নায় বসার পরিকল্পনাও রয়েছে। এর পরে ৬ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমাবেশে সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’ মহিলাদের নিয়ে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে। এরই মধ্যে সন্দেশখালি নিয়ে অভিযোগ জাতীয় স্তরে পৌঁছে দিতে দিল্লি গিয়েছেন সুকান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy