অমিতাভর পাশে দিলীপ। ফাইল চিত্র।
প্রথমে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং পরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী। ২০২০ সালে তাঁকে রাজ্য বিজেপি-তে পাঠায় সঙ্ঘ। এমনই পরিচয়ের অধিকারী গেরুয়া শিবিরের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি দলরেই একাংশ সরব হয়েছে। অভিযোগ, সংগঠনকে নিজের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কুক্ষিগত করে রেখেছেন অমিতাভ। শনিবারই দলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর রাজ্য বিজেপি-র ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের নিয়ে বৈঠকের পরে নাম না করে ঠারেঠোরে অমিতাভকে আক্রমণ করেছেন। তার আগে শনিবার শিয়ালদহ স্টেশনে একটি ডাউন বনগাঁ লোকালের কয়েকটি বগিতে অমিতাভের অপসারণ চেয়ে পোস্টার দেখা যায়। সেখানে অমিতাভ সম্পর্কে নানা অভিযোগও তোলা হয়। কিন্তু রাজ্য বিজেপি-র পক্ষে তা নিয়ে বিশেষ কিছু বলা হয়নি। রবিবার সেই কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম সরব হলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ বলেন, “দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকবেই। সেটা যথাস্থানে বলে মেটানোর ব্যবস্থা আমাদের দলে রয়েছে। বড় পরিবর্তন হচ্ছে দলে। তাই মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। কিন্তু তাই বলে দলের এক জন নেতা আর একজন নেতাকে প্রকাশ্যে মাতাল বলবে, ছিটিয়াল বলবে, এমন সংস্কৃতি আমাদের দলে নেই।”
ওই পোস্টারকাণ্ডের পরে রবিবার বিজেপি-র রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “এমন পোস্টার বিজেপি-র কেউ লাগায়নি।” কিন্তু দিলীপের রবিবারের মন্তব্যে এটা তিনি মেনে নিয়েছেন যে, অমিতাভর বিরুদ্ধে এই স্বর দলের ভিতরেই রয়েছে। তবে রবিবার শান্তনু ঠাকুর-সহ যাঁরা আলাদা করে দলবিরোধী বৈঠক করে অমিতাভর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, তাঁদের নাম করে কিছুই বলেননি দিলীপ।
বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু এখন কেন্দ্রীয় সরকারের বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। সেই মন্ত্রকের অধীনে থাকা কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসেই দলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শান্তনু। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন সদ্য ঘোষিত রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া রীতেশ তিওয়ারি, তুষার মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস মিত্র-সহ অনেকেই। এ ছাড়াও রাজ্যের দুই বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং অশোক কীর্তনীয়া যোগ দেন বিক্ষুব্ধদের বৈঠকে। নতুন জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষণার পরে পরেই ক্ষোভে বিভিন্ন হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন পাঁচ মতুয়া বিধায়ক। সেই ধাক্কার মধ্যে ‘বিদ্রোহে’ যোগ দেন বাঁকুড়ার বিধায়করা। এর পরে শান্তনু, খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। নতুন কমিটি থেকে বাদ যাওয়া দিলীপ শিবিরের নেতা হিসেবে পরিচিত প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুও শনিবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন। ওই বৈঠক শেষে অমিতাভর অপসারণের দাবি ওঠে। ‘বিদ্রোহী’দের অন্যতম রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “দলের ভোট যাঁরা ৪ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নিয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা হচ্ছে। তাই বর্তমান রাজ্য কমিটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা দরকার।” যদিও তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আলোচনা করে সব মিটে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy